শিরোনাম:
●   রাবিপ্রবি’তে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে প্রফেশনাল সিভি রাইটিং প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে মদ তৈরির কাচামালসহ আটক-২ ●   জনকথা’র সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান হাফিজুল ●   অপরাধীদের আতঙ্ক ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান ●   রাবিপ্রবি’তে জনতা ব্যাংক পিএলসির এটিএম বুথ উদ্বোধন ●   পার্বতীপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২ : আহত-১ ●   মিরসরাইয়ের ইউএনও জেরিনের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ●   পার্বতীপুরে রেললাইনে সার বোঝাই ট্রাক বিকল : ৩ ঘন্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ ●   পানছড়িতে বিজিবি লোগাং জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ●   চুয়েটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সম্পন্ন ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   চুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত ●   আবুরহাট দুরন্ত সংঘের কমিটি ঘোষণা ●   গণমাধ্যম কমিশন সিলেটের বিভাগীয় কমিটির পরিচিতি সভা ●   বাজার ব্যবস্থা সংস্কার করে জনগণকে রক্ষা করুন : সাইফুল হক ●   রাউজানে ব্যবসায়ী হত্যা ৪৮ ঘণ্টায় হয়নি মামলা ●   মাটিরাঙ্গায় চলাচল রাস্তা বন্ধের অভিযোগ ●   মিরসরাইয়ে ১০ কেজি গাঁজা সহ আটক-১ ●   নবীগঞ্জে অষ্টপ্রহরব্যাপী কীর্তন বিভিন্ন পেশার মানুষের ঢল ●   ঈশ্বরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ●   ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতার পদ স্থগিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে মুদি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি ●   কুষ্টিয়া মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠে বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী ●   বিএনপি নেতার বাড়িতে মিলল ইয়াবাসহ ২০ লাখ টাকা ●   কাউখালীতে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে বোনের বিরুদ্ধে ভাইদের সংবাদ সম্মেলন ●   রাজনৈতিক ভিন্নতার মধ্যেও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা দরকার ●   পানছড়িতে ওলামা দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত ●   রাউজানে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা ●   গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালের টেন্ডার যুবলীগ নেতার ফার্মে দেওয়ার পাঁয়তারা
রাঙামাটি, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ৭ বার স্থান পরিবর্তন করেও বাঁচতে পারছেন না গ্রামের মানুষ : নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে ভিটেবাড়ি
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ৭ বার স্থান পরিবর্তন করেও বাঁচতে পারছেন না গ্রামের মানুষ : নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে ভিটেবাড়ি
সোমবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

৭ বার স্থান পরিবর্তন করেও বাঁচতে পারছেন না গ্রামের মানুষ : নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে ভিটেবাড়ি

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তজাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদী আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। ক্রমাগত ভাঙ্গনে বিত্তশালী শত শত পরিবার যাযাবর জীবন যাপন করছেন। ভিটেবাড়ি ও চাষের জমি হারিয়ে নিমিষেই মানুষ পরিণত হচ্ছে সহায় সম্বলহীন। যে হাতে মুঠো ভরে সাহায্য দিত অন্যকে, সেই হাত এখন সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়। সরেজমিন তথ্য নিয়ে জানা গেছে শৈলকুপার সারুটিয়া, ধলহরচন্দ্র ও হাকিমপুর ইউনিয়নের নদী পাড়ের গ্রামগুলোতে এখন আতংক বিরাজ করছে। শৈলকুপার বড়ুরিয়া থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটল ধরেছে। হাকিমপুর ইউনিয়নের মাদলা ও খুলুমবাড়িয়া, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, মাজদিয়া, উলুবাড়িয়া, নতুনভুক্ত মালিথিয়া, চরপাড়া ও লাঙ্গলবাঁধ বাজার ঝুকির মুখে পড়েছে। রাতদিন সমানতালে ভাঙ্গছে গড়াই নদী। মানচিত্র বদলের পাশাপাশি ঘর, বাড়ি ও চাষের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল মালেক মন্ডলের টিনের চৌরি ঘর ছিল, মাঠে ১০ বিঘা চাষের জমিও ছিল। এগুলো এখন তার কাছে শুধুই স্বপ্ন। ভীটাবাড়ি আর চাষের জমি সবই চলে গেছে গড়াই নদীর গর্ভে। এখন থাকেন অন্যের জমিতে। একেকবার ঘর ভেঙ্গেছে, আর বাঁচার জন্য নতুন করে ঘর বেঁধেছেন। সাতবার বসতবাড়ির জায়গা করেছেন। একই গ্রামের আব্দুর রহিম মন্ডল জানান, তিনি বসতবাড়ির জায়গা পাল্টেছেন ৬ বার। তারও ৮ বিঘা জমি ছিল। পাঁকা পোতার টিনের চৌরি ঘর ছিল। বাড়িতে গরু-ছাগল ছিল। যা হারিয়ে এখন অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করেন। তারও সবকিছু চলে গেছে এই গড়াই নদীতেই। এই অবস্থা ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের উত্তরপাড়ার। যে পাড়াতে ৪০ টি পরিবার বসবাস করতেন, এখন সেখানে আছেন ৫ টি। বাকিরা নদী ভাঙ্গনে সব হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকে ভিটাবাড়ি হারিয়ে যাবাবরের মতো জীবন কাটাচ্ছেন। যারা এখনও আছেন তারাও নদী ভাঙ্গনের ঝুকিতে। আবু তালেব জানান, উত্তরপাড়ায় বসবাস করতেন আইন উদ্দিন, আলিম উদ্দিন, আব্দুল হাকিম, জোয়াদ আলী, আবু কালাম মন্ডল, সিরাজ উদ্দিন, উজ্জল আলী, আল্লাল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, আবু সাঈদ, শহিদুল ইসলামসহ প্রায় ৪০ টি পরিবার। যাদের মধ্যে এখন আব্দুল মালেক, আব্দুর রহিম, আবু তালেব, আশরাফুল ইসলাম ও হাসান আলীর পরিবার রয়েছে। বাকিরা নদী গর্ভে সব হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। নদী পাড়ের বান্দিরা জানান, এবছর যে পরিমানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তাতে যে স্থানে তারা আছেন সেখানেও থাকতে ভয় পাচ্ছেন। রাতে ঘুমানোর পর মাঝে মধ্যে ভয়ে জেগে ওঠেন। মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, তাদের মসজিদটি ছিল কৃষ্ণনগর গ্রামের মাঝে। এখন চলে গেছে নদীর পাড়ে। মসজিদটিও ভেঙ্গে পড়ার আশংকায়। তিনি আরো জানান, উত্তরপাড়া শেষ হয়ে গেছে, এবার মাঝেরপাড়া নদী গর্ভে চলে যাবে। এখনই স্থায়ী বাঁধ না দিলে গোটা গ্রামই বিলিন হবে। এ ব্যাপারে সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক জানান, কৃষ্ণনগর গ্রামের মানুষগুলো বাঁচাতে হলে এখনই স্থায়ী বাঁধ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। আর উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল জানান, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখেন। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের শৈলকুপা শাখা কর্মকর্তা বিকর্ণ দাস জানান, ঝিনাইদহ অংশে ২০ কিলোমিটার গড়াই নদী রয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে বড়–রিয়া এলাকায় কিছু কাজ করিয়েছেন তারা। এছাড়া নদী পাড়ের মানুষগুলো রক্ষায় বড়–রিয়া, কৃষ্ণনগর ও লাঙ্গলবাঁধ এলাকার ২৩৫ কোটি টাকার ৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মান কাজের একটা প্রাক্কলন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটা অনুমোদন পেলে তারা দ্রতই কাজ শুরু করবেন বলে জানান।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)