শনিবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে যুবলীগ নেতা নাছির হত্যা মামলায় ইলিয়াছকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
রাউজানে যুবলীগ নেতা নাছির হত্যা মামলায় ইলিয়াছকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
আমির হামজা,স্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রামের রাউজানে অবৈধ দেশীয় তৈরি এলজি ও কার্তুজসহ চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা নাছির হত্যাকান্ডের আসামী ইলিয়াছ (৩৮)কে গ্রেপ্তার করেছে রাউজান থানা পুলিশ।
গত শুক্রবার রাত পৌনে ২টায় হলদিয়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের নজিরের বাগান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে দুই নল বিশিষ্ট একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সন্ত্রাসী ইলিয়াছ হলদিয়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল খায়েরের পুত্র। তাকে
শনিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, ২০১৪ সালে ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হলদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিনকে বাগানে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিল ইলিয়াছসহ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা। ঘটনার তিনমাস পর গ্রেপ্তার হলেও এক বছর পর সে জামিনে বেরিয়ে আসে। এর পর ২০১৬ সালে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে যুবলীগ নেতা নাছিরের বাড়িতে গেলে অস্ত্রসহ ধরা পড়ে। ২০১৮ সালে কারামুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায় সন্ত্রাসী ইলিয়াছ।
এ বিষয়ে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, ইলিয়াছ হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী ছিলেন। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু শেষ কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাউজানে হেফজ খানায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভা এলাকায় দারুচ্ছালাম তাহফীজুল কোআন মাদরাসা ও এতিমখানা নামে কওমী মাদরাসায় ইমন (১১) নামে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিষক্রিয়ায় মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শনিবার বিকেল ৫টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রান্নাঘর থেকে একটি কীটনাশক ও স্প্রে করার বোতল জব্দ করেন। নিহত ওই শিশু চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলা ভূজপুর থানার আলিয়ার চুলা গ্রামের দিনমজুর মো. আবছারের ছেলে। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ৭টায় খাবার খেয়ে সবাই মাদরাসা সংলগ্ন পরিত্যক্ত ওজুখানায় খেলতে যান। খেলতে খেলতে বড়ই খাওয়ার সময় সেখানে পড়ে গেলে মাদরাসার হুজুর হাসপাতালে নিয়ে যান। বিষ রাখা প্রসঙ্গে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বলেন, ক্ষেতে দেওয়া অবশিষ্ট বিষ রাখা ছিল, সেগুলো খেয়েছে। নিহত শিশু ইমন ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। মাদরাসা পরিচালক আজিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, সকালে মুখে লালা দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বিষপান করায় চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেন। তবে তার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।