রবিবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে ফুটপাত হকারদের দখলে
বিশ্বনাথে ফুটপাত হকারদের দখলে
মো. আবুল কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পৌর এলাকার রাস্তার ফুটপাত দখল করে দেদারসে ব্যবসা করছে ব্যবসায়ীরা।
এতে ভোগান্তিার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। পৌর শহরের একমাত্র পুরান ও নতুন বাজার এলাকার বাসিয়া ব্রিজ ও এর আসেপাশ এলাকা এখন অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে। সাধারণ মানুষের চলাচলের জায়গায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমান কাপরের দুকান, চটপটি দোকান।
ফুটপাতে সারাক্ষণ রাখা থাকে সিএনজি অটো রিক্সা এবং ব্যাটারী চালিত রিক্সাসহ আসপাশের নানান দোকানের মালামাল।
পৌর শহরের পুরারবাজার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবৈধ ভাবে গড়ে তুলা হয়েছে সিএনজি অটো রিক্সার এষ্টেন্ড। সামনের অংশ পর্যন্ত থাকা ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে গড়ে উঠছে কাচাঁবাজার, ফলের দোকান।
এ কারণে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছে না পথচারীরা। যান চলাচলে ঘটছে ব্যঘাত, সারাক্ষণই লেগে থাকে জট। গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেখা যায়, পৌর শহরের একমাত্র বাসিয়া ব্রিজ ও আশপাশের দুই পারে রাস্তা দখলে চলে গেছে।
সেখানে বসছে শতাধিক শাকসবজি, ফলমূল, তরিতরকারি ও চটপট্টির দোকান। তিন ফুট চওড়া ফুটপাত এত সরু হয়ে গেছে যে, হেঁটে চলাও যাচ্ছে না। ফুটপাত দখল করে এসব দোকানি বসছেন স্থায়ীভাবেই।
আর যাঁরা ফুটপাতে জায়গা পাচ্ছেন না, তাঁরা মালামাল নিয়ে বসে পড়েছেন রাস্তার ওপরেই। এমনকি রাস্তার বিভাজকের ওপরেও রাখা আছে ফলের ঝুড়ি, সবজির বস্তা প্রভৃতি। ফলে ঝুুড় নিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে মূল সড়কের মাঝপথ বরাবর।
এ বিষয়ে কথা হলে, সাংবাদিক কবি সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, কাউকে চাদা না দিয়ে হকারদের পক্ষে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা সম্ভব নায়। এই পথেই আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়, কিন্ত বর্তমানে ফুটপাতের পুরো অংশই বাজার বসে গেছে। হেটেঁ চলাচলের আর কোন উপায় নেই। দিনদিন ফলের দোকান ও ফুটপাত দখলদাররা বেড়েই চলছে।
ফুটপাত দিয়ে হাটঁতে গিয়ে ভিড়ের কারনে সামনে এগোতে পারছিলেন না এক পথচারী। তিনি তখন আক্ষেপ করে বলেন, ফুটপাতের যেটুকু অংশ ফাঁকা আছে, সেটাতো লোকজনের চলাচলের নয়।
ওই অংশটায় ক্রেতাদের দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করার জন্য। উল্লেখ্য জগন্নাথপুর রোডস্থ বিশ্বনাথ পুরানবাজার আল হেরা মার্কেটের সামনের সড়কে হেঁটে চলাচল করা ভাগ্যের ব্যপার। সিএনজি অটোরিক্সার অবৈধ পার্কিংয়ে আর ফুটপাতে ফলের দোকান সব মিলিয়ে একটা প্রচন্ড বিশৃঙ্খল অবস্থা, একটু পরপর লেগে যায় যানজট।
অপরদিকে ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, পুলিশ নিয়মিতিভাবেই যানজট মুক্ত করতে কাজ করছে। হকাররা দেশের একটি বড় ইস্যু, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে কথা বলছি, আশারাখি এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ধে যেতে পারবো।
এবিয়য়ে বিশ্বনাথ উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রসাশক নুসরাত জাহানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা ও পৌর শহরে যে সকল অবৈধ দোকান ও যানবাহন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে কথা বলছেন বলে জানান।
জানতে চাইলে স্থানীয় নতুন বাজার বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ বলেন, আমরা বারবার উপজেলা প্রশাসকের কাছে দখলের বিষয়ে আবেদন করছি কিন্তু ততপরতা না থাকার কারনে ফুটপাত দখল করে অবৈধ ভাবে দখলে মেতে উঠে।
দখলদারদের আয় রুজির উৎসই হলো ফুটপাত। এই উৎসকে জিইয়ে রাখতে ওইসব দখলদার ধর্ণা দেয় বিভিন্ন দুয়ারে। ধর্ণার পর ভাগবাটোয়ারায় উনিশ বিশ হলেই লোক দেখানো অভিজানে নামে স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা।
কিছুক্ষণ পর বা কিছুদিন পরই ঘুরে ফিরে সেই চেহারায় চলে আসে বিশ্বনাথ পৌর শহরের দুই পারে থাকা অবৈধ ফুটপাত। তিনি বলেন, সামনে রমজান মাস, এই রমজান মাসের আগেই যেন ফুটপাত দখল মুক্ত করে মুক্ত চলাচলের জন্য মানুষকে ফুটপাত উপহার দিবেন প্রশাসন।