রবিবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে বৃটিশ প্রতিনিধি দল সংবর্ধিত
বিশ্বনাথে বৃটিশ প্রতিনিধি দল সংবর্ধিত
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃটিশ প্রতিনিধি দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইসমাঈল আলী ঠাকুর মিয়া অ্যান্ড আত্তর আলী ফ্যামেলি ট্রাস্ট ইউকে ও আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে আনিকা কমিউনিটি সেন্টারে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
সমাজবেক ও প্রবীণ মুরব্বী নছির মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা ও ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনা।
হাজী ইন্তাজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মিছবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্যার্ডফোর্ডের লড মেয়র ডাক্তার মেনজ জোসি ডিএল, ব্রার্ডফোর্ড বেলিসের চেয়ারম্যান নাইজেল উড অবি, ব্যবসায়ী গ্রাহাম সুহিম, ভাবনা জোসি, চিলার আশরাফ মিয়া, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফ্লাস হিলস ফেলস, কিথলীর সাবেক মেয়র ফুলজার আহমদ, সিইওবিইএপি হুমায়ুন ইসলাম, এনআরসির চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান, সমাজসেবক রুহেল মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবীদ জসিম উদ্দিন সেলিম, জয়নাল আবেদীন, আব্দুর রহমান খালেদ, সমাজসেবক মনির মিয়া ময়নুল, আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ময়না মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুরব্বী মছব্বির তছির আলী, আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংস্থার আল-ইমরান, একে রাজু, আনসার মিয়া সাজ্জাদ, সুমন আহমদ, আফজল মিয়া, মামুন মিয়া, ইকবাল হোসেন, টিটন মিয়া, মোতালিব মুহিব, মোহাম্মদ রুবেল, সাইদুল ইসলাম, নাঈম আহমদ, রুবায়েল আহমদ, সুজন মিয়া প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে শতাধিক অসহায় ও গরীব মানুষের মধ্যে লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। সংবর্ধনা সভার পূর্বে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্যরা বিশ্বনাথবাজার থেকে মোটর শোভাযাত্রায় বৃটিশ প্রতিনিধি দলকে আনিকা কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে পৌর এলাকার প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে বৃটিশ প্রতিনিধি দলকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। মুরব্বী মাওলানা আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের ধর্মিয় শিক্ষক হেলাল আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শেখ মসাঈদ আলী, কমর আলী, মোস্তফা আহমদ, প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল, যুক্তরাজ্য প্রবাসী হেলাল আহমদ, ইউপি সদস্য জমির আলী প্রমুখ।
মাদক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে
তুলতে হবে -বিশ্বনাথে ড: অরূপ রতন চৌধুরী
বিশ্বনাথ :: একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) চেয়ারম্যান ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেছেন, মাদক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শিশু-কিশোরদের মাদকের আবাসন থেকে রক্ষা করতে হলে, মা-বাবাকে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে হবে। সন্তানদের নিয়মিত লেখাপড়া ও খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এতো দিন নিজের পেশাগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম, তাই নিজ জন্মভ‚মিকে কিছু দিতে পারি নি।
এখন আমার দেওয়ার সময় এসেছে, তাই আমি নিজের এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাছাড়া আমি চিকিৎসক হওয়ায় দেশের প্রায় অধিকাংশ মন্ত্রীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়, ভাল সম্পর্কও রয়েছে। বিশ্বনাথে গ্যাস সংযোগসহ এলাকার যে কোন উন্নয়ন তাদের মাধ্যমে করানোর সুযোগ রয়েছে আমার।
তিনি শনিবার (২৬ ফেব্রয়ারী) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)’র উপজেলা শাখা আয়োজিত মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভা শেষে অনুষ্ঠান শেষে ডা. অরূপ রতন চৌধুরী সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বিশ্বনাথ উপজেলা মানস’র মহব্বত আলী জাহানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাওছার আলীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদক ও যৌতুক প্রতিরোধ পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাম্যবাদী কবি সাইদুর রহমান সাঈদ, সমাজসেবী অ্যাডভোকেট কল্যান চৌধুরী, ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর সহধর্মীনি গৌরি চৌধুরী, সিলেট মদন মোহন কলেজের প্রভাষক মিহির মোহন, বিশ্বনাথ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনি কাঞ্চন চৌধুরী, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল ইসলাম, তানিশা আফরিন মুন্নি। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক বিভাংশু গুণ বিভু।
অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লালা মিয়া, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রুপ, সামসুল কবির ইমরুজ, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য সোহেল তালুকদার, এমদাদ হোসেন নাঈম, সাংবাদিক আশিক আলী, নবীন সোহেল, বদরুল ইসলাম মহসিন, সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতা নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ নেতা ইসতিয়াক খান, জাহেদ আহমদ, সংগঠক আনহার আলী, সাকিল আহমদ প্রমুখ।
বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে অতিরিক্ত ফি আদায়
সাংবাদিকদের উপর রেগে গেলেন অধ্যাপিকা রুকিয়া
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীর ভর্তিতে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ফি, এতে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকারা।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের তথ্য জানতে চাইলে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপর রেগে যান কলেজের অধ্যাপিকা ও ভর্তি কমিটির আহবায়ক রুকিয়া বেগম শেলী।
এদিকে, গত কিছু দিন ধরে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়ে উপজেলা ও পৌর এলাকার সর্বত্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
সরকারি কলেজের অধ্যাপিকার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি আবার উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকার দায়িতে অধিষ্ঠিত আছেন।
তাই সাংবাদিকদের উপর তার রাগের মাত্রাটাও ছিলো একটু বেশি। তাছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারী অতিরিক্ত ফি আদায়ের ঘটনায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথেও তার বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনা হয়েছে। এর পরিধি এমন ছিলো যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে থানা পুলিশ ভুমিকা রাখতে হয়েছে।
ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ফি নিচ্ছেন দেড় হাজার টাকা, এক সাথে ৬ মাসের বেতন বাবদ আরো দেড় হাজার টাকা, এর সাথে গ্রন্থাগার ফি ৫০ টাকা, দরিদ্র তহবিল ফি ৫০ টাকা, ধর্মানুষ্ঠান ফি ১ শত টাকা, পরিচয়পত্র ফি ১ শত টাকা, রোভার স্কাউট ফি ৫০ টাকা, রেড-ক্রিসেন্ট ফি ২৪ টাকা, ক্রীড়া ফি ৫০ টাকা, বিদ্যুৎ ফি ৫০ টাকা, একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি ৫০ টাকা, বিবিধ ফি ২৬ টাকা, ভর্তি ফরম ফি ১৩০ টাকা ও ব্যাংক ফি (রকেট) ২০ টাকাসহ সর্বমোট ৩৭০০ টাকা।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবত অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগের তথ্য জানতে গেলে অধ্যাপিকা রুকিয়া বেগম শেলী সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, সাংবাদিকরা কোনো দিন কলেজে এসে আমাদের ভালো-মন্দ খরব নেন না।
আর আজ আপনারা এসেছেন আমরা অতিরিক্ত ফি নিচ্ছি এমন মিথ্যা সংবাদ পেয়ে, আপনারা এখান থেকে চলে আসলেন। এবিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনো প্রকার তথ্য বা কোন প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য নই আমরা।
একথা বলার কিছু সময় পর তিনি (রুকিয়া) অতিরিক্ত ফি নিচ্ছেন না দাবি করে অধ্যাপিকা বলেন, সিলেটের অন্যান্য কলেজের চেয়ে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে ফি কমই নিচ্ছেন।
কলেজটি সরকারিকরণ করা হলেও তারা (কলেজ কর্তৃপক্ষ) কোনো প্রকাশ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। সব কিছুই পূর্বেই মতোই চলছে। শুধু ‘সরকারি’ নামটাই কলেজে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র।
বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মানিক মিয়া সাংবাদিকদের সাথে কলেজের অধ্যাপিকা ও ভর্তি কমিটির আহবায়ক রুকিয়া বেগম শেলীর এমন আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।