সোমবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » রাশিয়া ইউক্রেন শান্তি আলোচনা শুরু
রাশিয়া ইউক্রেন শান্তি আলোচনা শুরু
ইউক্রেনে রুশ সৈন্য ঢোকার পঞ্চম দিনে দুই দেশের প্রতিনিধিদল যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে তারা এই মুহূর্তে যুদ্ধ বিরতি এবং রুশ সৈন্য প্রত্যাহার চায়।
অন্যদিকে রুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলছেন মস্কো এমন একটি বোঝাপড়া চায় যা দুই পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করবে।
বৈঠক শুরু আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যেলেনস্কি রুশ সৈন্যদের অস্ত্র নামিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি ইউক্রেনকে দ্রুত সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
রাশিয়ার সাথে আলোচনার জন্য় বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা
কিয়েভ থেকে বিবিসির আবদুজালিল আব্দুরাসুলভ বলছেন, ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, তাদের প্রতিনিধিদল রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে পৌঁছেছে।
তারা বলেছেন তাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয় একটি যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সৈন্য প্রত্যাহার।
এর আগে জানা যায় যে, লজিস্টিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে আলোচনা পেছানো হয়েছে।
রবিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন তিনি এই আলোচনা থেকে কোন অগ্রগতি আশা করেন না।
তবে একইসাথে তিনি বলেন খুব ছোট হলেও তাদের এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করা উচিৎ যাতে কেউ ইউক্রেনকে যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা না করার জন্য দোষ দিতে না পারে।
ইউক্রেনে হামলার পঞ্চম দিনে এখন পর্যন্ত যা যা হলো:
আপনি যদি মাত্র আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে ইউক্রেন সম্পর্কে আপডেটগুলো জেনে নিতে পারেন এখানে:
রুশ সৈন্যরা রাজধানী থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নেওয়া সত্ত্বেও, কিয়েভ ইউক্রেনের হাতেই রয়েছে এবং শহরে দুই দিনের কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে
উত্তর-পূর্বের চেরনিহিভ শহরে রাতভর রাশিয়ার সেনারা ভারী গোলাবর্ষণ করেছে কিন্তু এটি এখনো ইউক্রেনের হাতে রয়েছে
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে যে, ইউক্রেনে আক্রমণের সময় তাদের বাহিনী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যদিও কয়েকদিন ধরে তারা দাবি করেছে যে তাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কিয়েভ এবং মস্কোর প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনার জন্য বেলারুশে যাচ্ছেন, যদিও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করেছেন, তিনি আশা করেন না যে আলোচনা থেকে কোন ফলাফল আসবে।
এদিকে, রাতে বেশ কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বেলোরুশের স্বৈরশাসক আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো তার কিছু সৈন্যকে রুশ আক্রমণে যোগ দেওয়ার জন্য মোতায়েন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অন্যদিকে রাশিয়ার অর্থনীতিতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে মস্কোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করেছে এবং বিদেশীদের কাছে থাকা সিকিউরিটি বিক্রি করা থেকে দালালদের নিষেধ করেছে।
এবং যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক ব্রিটিশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দেশের অন্য সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের সাথে লেনদেন করতে নিষেধ করেছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।