বৃহস্পতিবার ● ৩ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » বিশ্বনাথে বাসিয়া নদী এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে
বিশ্বনাথে বাসিয়া নদী এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে
মো. আবুল কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে দখল-দূষণে বিলীন হচ্ছে নদী-নালা ও খাল-বিলসহ বড় বড় জলাশয়। ফলে দেখা দিচ্ছে পানি সংকট, ব্যাহত হচ্ছে বোরো মৌসুমের কৃষি কাজ।
দখলদারদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে কেউই মুখ না খুলায় দিনকে দিন তাদের দখলদারিত্ব বেড়েই চলেছে। এছাড়া পরিবেশবাদীরা অন্য ইস্যু নিয়ে কথা বললেও এ বিষয়ে অনেকটা নিশ্চুপ রয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলাবাসীর পানির একমাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে বাসিয়া নদী। সেই নদীর নামে নামকরণ করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের নাম ও থানা ভবন। অথচ তাদের চোখের সামনেই পৌর শহরের ভেতরে দখল আর দূষণে বিলীন হচ্ছে এ নদীটি।
তালিকা করে একাধিকবার টেন্ডার হলেও উচ্ছেদের নামে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এছাড়া এক সময়ের খরস্রোতা চরচন্ডি নদী ও বাসিয়া নদী থেকে প্রবাহিত রামপাশা মাকুন্দা নদীর সঙ্গে সংযোগ বড় একটি খাল।
বর্তমানে মাকুন্দা নদীতেও খনন কাজ চলছে। নদীটির মধ্যস্থান খনন না করে দুই তীরের ঘাস পরিষ্কারের কাজ চলছে। এভাবে কয়েক বছর আগে বাসিয়া নদী খনন করা হলেও বর্তমান যেমন ছিল তেমনই আছে। কিন্তু সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে গেলেও উপকার পাচ্ছেন না জনসাধারণ।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে এমপি মোকাব্বির খান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেছেন, দুই টার্ম এ অঞ্চলে সরকারদলীয় এমপি না থাকায় উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন জনসাধারণ। চেষ্টা করে যাচ্ছি এসব নদী-নালা দখলমুক্ত করার।
বিশ্বনাথে ফেব্রয়ারি শেষেই অবহেলায় শহীদ মিনার
বিশ্বনাথ :: ভাষা দিবস যেতে না যেতেই ময়লায় ছেয়ে গেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। কেবল ভাষা দিবস এলেই চলে মৌসুমি পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এটির আর খবর রাখেনা কেউ। বাস্তবে সারা বছর অযত্নে- অবহেলায় পড়ে থাকে এই স্মৃতির মিনার।
অরক্ষিত মিনারে দিনের বেলা অনেকে জুতা-সেন্ডেল পরেই বেদিতে ঘোরাফেরা করে। অনেক সময় ওখানে শুয়ে রয় ছাগল-কুকুর। মূল বেদিসহ চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে ময়লা-অবর্জনা।
এতে শহীদ মিনারের যথাযথ মর্যাদা, পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্য রক্ষার বিষয়টি হানি হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ স্থানীয়রা।
সোমবার (২৮ ফেব্রয়ারি) বিকেলে উপজেলার ভেতরে নির্মিত শহীদ মিনারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারের মুল বেদির সম্মুখে ফুটবল খেলছে কিশোরেরা। ৫-৬ জন দৌড়ঝাপ করছে বেদিকে ঘিরে।
মিনারে উপর ও তার চারপাশে গাছের পাতা-ডাল, নিষিদ্ধ পলিথিন, ককসিট বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। অথচ উপজেলার ভেতরেই রয়েছে সব কর্মকর্তাদের কার্যালয়। বছর ব্যাপী শহীদ মিনারের এ হাল হলেও নজরে পড়ে না কারও।
বিশ্বনাথ থিয়েটারের সভাপতি নাট্যকর্মী আনহার আলী বলেন, শহীদ মিনার শুধু ইট-পাথরের তৈরী কোন বেদি নয়। এটি জাতীর শ্রদ্ধা, আবেগ ও ভালোবাসর বিষয়। শহীদ মিনারের প্রতি অবহেলা, ভাষা শহীদদের অমর্যাদার শামিল। শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় হাইকোর্টেরও বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমাদের চাওয়া, এটি যেন সবসময় পরিস্কার-পরিছন্ন ও আদরে রাখা হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি কাল থেকে গুরুত্বসহকারে দেখবো। সেই সাথে আরেকটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদকে লিখেছি। বরাদ্দ হলে সুন্দর করে, নতুন একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার ঘুষ দূর্নীতির বিরুদ্ধে ও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে পৌর শহরে বিক্ষোব্ধ উপজেলাবাসীর উদ্যোগে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঝাঁড়– ও বিভিন্ন ফেস্টুন সহকারে মিছিল করেন তারা। মিছিল শেষে বাসিয়া সেতুর উপর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা সাধৃ মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সফজ্জুল, রিয়ান আলী, যুবলীগ নেতা জমির আলী, শাহান শাহ, মিজান মিয়া, আফরোজ আলী, ছাত্রলীগ নেতা মাছুম খান, আফসার আহমদ, রাজিব আহমদ, মাহবুব আলম, সজিব আহমদ প্রমূখ। মিছিলে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলায় ‘নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’র নামে ৩৯ কোটি ৬লাখ ৫৮ টাকার একটি প্রকল্প বরাদ্দ আনেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
এরপর ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওই প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম এনে উপজেলা চেয়ারম্যান নুন মিয়ার বিরুদ্ধে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন এমপি মোকাব্বির খান। আর ওই অভিযোগটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন তদন্ত করেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরুল হাসান।
বিশ্বনাথে স্কুল থেকে ফিরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক নির্মল সরকার
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার গোমরাগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল চন্দ্র সরকার (৪৯) আর নেই।
গতকাল বুধবার (২ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে তিনি তার রামধানা কৃপাখালি গ্রামের বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এর কিছু সময় পূর্বে বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি।
রামধানা কৃপাখালি গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে নির্মল চন্দ্র সরকার মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ও একছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
প্রধান শিক্ষক নির্মল চন্দ্র সরকারের মৃত্যুতে তার সাবেক-বর্তমান ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মী শিক্ষকসহ সহপাঠি-বন্ধু মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনেকেই তার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গভীর শোক ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে মৃত নির্মল চন্দ্র সরকারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।