মঙ্গলবার ● ২২ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ৫টি ইউনিয়নের ৪৯টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ৫টি ইউনিয়নের ৪৯টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সরকারদলীয় কতিপয় প্রার্থীর কেন্দ্র দখল ও প্রকাশ্যে ভোট কাটার হুমকির শঙ্কা নিয়ে আগামীকাল ২২ মার্চ মঙ্গলবার৷ এ নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামের মানুষের মধ্যে অজানা আতংক বিরাজ করছে৷ ইতিমধ্যে পাঁচ ইউনিয়নের ৪৯টি কেন্দ্রেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন৷ এজন্য আনসার সদস্যদের ২টির পরিবর্তে চারটি করে অস্ত্র দেয়া হচ্ছে৷ থাকছে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের বিশেষ টহল৷ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের দোড়া ও কুশনা ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকা করেছে প্রার্থীরা৷ তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবি করা হচ্ছে৷
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরের ৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৮১ হাজার ১শত ৯৯ জন৷ এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৮শ ৪৭ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ৪০ হাজার ৩শ ৫২ জন৷ ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন৷ এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ৫১ জন, সাধারণ মেম্বার পদে ১৬২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন৷ এর মধ্যে সাবদারপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড থেকে তাফসিরুজ্জামান ও কুশনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড থেকে নাছির উদ্দীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন৷
চেয়ারম্যান পদে ইউনিয়ন ৫টিতে নির্বাচন করছেন ১নং সাবদারপুর ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতিক নিয়ে নওশের আলী নাছির, বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মিজানুর রহমান খান লাভলু, জামাতের স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসাবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে গোলাম মোসত্মফা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলায়েত হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে৷
দোড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস, বিএনপি’র ধানের শীর্ষ নিয়ে মনিরুল ইসলাম মন্টু, বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জামায়াতের আব্দুর রাজ্জাক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে, জাসদ থেকে মশাল প্রতীক নিয়ে মানিক মিয়া এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হিসাবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জাহিদুর রহমান চাঁদ৷
কুশনা ইউনিয়নে নৌকা প্রতিক নিয়ে আব্দুল হান্নান, ধানের শীষ নিয়ে লিয়াকত আলী, আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জামায়াতের শরিফুর রহমান টিটো, জসদের মশাল প্রতিকে ওয়াহেদুজ্জামান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আতিয়ার রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে এবং বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হিসাবে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সিরাজুল ইসলামের ছেলে জুলফিকার আলী রাজা আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন৷ বলুহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের আব্দুল মতিন, বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে রফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জামায়াতের শাহ আলম এবং আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে শরিফুল ইসলাম৷
এলাঙ্গী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মিজানুর রহমান খান, বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক এবং জামায়াতের স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন৷
আগামি মঙ্গলবারের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের সাথেই মূলত লড়াই হবে বলে ভোটাররা জানান৷