মঙ্গলবার ● ২২ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ঝিনাইদহে পাম চাষ করে ব্যাপক ভোগান্তিতে চাষীরা
ঝিনাইদহে পাম চাষ করে ব্যাপক ভোগান্তিতে চাষীরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের পাম চাষীরা পাম চাষ করে বিপাকে পড়েছেন ৷ প্রায় ৭/৮ বছর আগে লাগানো পাম গাছ গুলোতে এখন ফল আসতে শুরু করেছে৷ কিন্তু পাম ফল কোথায় বিক্রি করবেন তা জানা নেই চাষিদের৷ পামফল বিক্রি করতে না পরায় গাছেই ফলগুলো নষ্ট হচ্ছে৷ দেখার কেউ নেই৷ ঝিনাইদহের বাজার গোপালপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ার পাম চাষী আব্দুল লতিফ বলেন, ২০০৭/৮ সালের দিকে আমি প্রায় দু’বিঘা জমিতে সাড়ে ৩শটি পাম গাছের চারা রোপণ করি৷ এখানে প্রায় আমার ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়৷ পাম গা গুলোতে গত দু’বছর ফল আসতে শুরু হয়েছে৷ কিন্তু কোথায় বিক্রি করতে হবে নানা স্থানে খোঁজ খবর নিয়েও বিক্রির জায়গা পাচ্ছি না৷
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আলামপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, আমি এক বিঘা জমিতে পামচারা রোপণ করেছিলাম৷ গাছগুলোতে পাম ফল আসতে শুরু করেছে৷ কিন্তু বিক্রির কোন জায়গা না পেয়ে গত মাসে গাছগুলো কেটে দিয়েছি৷
আরো খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ২০০৭/০৮ সালে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ায় ‘তুর ডেভেলাপমেন্ট’ নামের একটি কোম্পানি অফিস খুলে বসেন৷ তারা মাঠ পর্যায়ে আকর্ষণীয় বেতন ভাতার প্রলোভন দেখিয়ে কর্মী নিয়োগ দেন৷ এক পর্যায়ে ‘তুর ডেভেলাপমেন্ট’ কোম্পানি অফিস গুটিয়ে নিয়ে চলে গেছে বলে পাম চাষীরা জানায়৷ ফলে বন্ধ হয়ে যায় পাম চাষীদের সঙ্গে কর্মীদের যোগাযোগ৷ এখন গাছগুলোতে পাম ফল আসতে শুরু করেছে৷ কিন্তু বিক্রির কোন জায়গা না পেয়ে পাম চাষীরা পড়েছেন ব্যাপক ভোগান্তিতে ৷ এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কৃষি বিভাগে উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আকরামুল হক জানান, মেহেরপুর বিসিকে একটা মেশিন আছে৷ তবে সেখানে যে পরিমাণ পাম ফল দরকার তা সরবরাহ করা সম্ভব হয় না৷ যে কারণে অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে৷ তিনি আরও জানান, এখানে পাম ফল থেকে যে তেল উত্পাদন হয় তা পরিশোধনে একটু সমস্যা আছে ৷