বুধবার ● ১৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে মাটিজুড়া নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ মারার মামলায় আটক-১
বিশ্বনাথে মাটিজুড়া নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ মারার মামলায় আটক-১
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘মাটিজুড়া নদী’তে বিষ প্রয়োগে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মারার ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের মৃত মখলিছ আলীর পুত্র আলতাব হোসেন ওরফে আলতা (৪৫)’কে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ভোরে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের মখলিছ আলীর পুত্র জুবেল মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলাটি দায়ের করে ছিলেন। মামলা নং ১৮ (তাং ২৩.০২.২২ইং)।
মামলার লিখিত অভিযোগে বাদী জুবেল মিয়া উল্লেখ করেছেন, প্রায় ৫/৬ মাস পূর্বে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছ থেকে মাটিজুড়া নদী লিজ আনেন জনৈক মুহিবুর রহমান। আর ২/৩ মাস পূর্বে মুহিবুর রহমান সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বাদীর কাছে বিক্রয় করেন।
বাদী লিজ আনিয়া গত ১ ফেব্রুয়ারী মেশিন লাগিয়ে সেচ শুরু করেন। মাটিজুড়া নদী বাদী লিজ আনার পর থেকে কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার (বাদী) ক্ষতিসাধন করতে তৎপর হয়ে উঠে। বাদী যাতে নদী থেকে মাছ শিকার না করতে পারেন সেজন্য অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নদীতে থাকা কচুরিপানা কেটে ও নদীতে থাকা কাটা তুলে নিয়ে যায়।
এরপর গত ৩ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ৩টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে যেকোন এক সময়ে বাদীর লিজকৃত নদীতে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের মাছ মেরে (হত্যা) ফেলে।
বাদীসহ স্বাক্ষীরা সকাল ৬টার দিকে পানি সেচসহ মাছ শিকারে গেলে দেখতে পান নদীর সব মাছ মরে ভেছে উঠেছে এবং কিছু মাছ বিষের প্রভাবে দৌড়াদৌড়ি করছে। বাদী তখন সে মাছগুলোকে বাঁচানোর জন্য মুহিবুর রহমানের কাছ থেকে এনে ২০/২৫ প্যাকেট অক্সিজেন ট্যাবলেট নদীতে প্রয়োগ করেন।
এরপরও নদীর মাছ বাঁচাতে পারেননি বাদী। বিকেলের দিকে সব মাছ মরে ভেসে উঠে। বাদী বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানান এবং বিষ প্রয়োগে মাছ মারার সাথে আলতাব ও সালাম নামের দুজনকে সন্দেহজনক বলে অবহিত করেন।
এরপর এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা ওই দুজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন। এসময় আলতাব-সালাম বিষয়টি আপোষ মিমাংশায় সমাধান করবে বলে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালেও পরবর্তিতে তারা তা না করায় বাদী ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় থানা মামলাটি দায়ের করেছেন মর্মে তার দায়েরকৃত মামলার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।