শনিবার ● ১৯ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে শালিশ বৈঠকে পুলিশের সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৬
ঝালকাঠিতে শালিশ বৈঠকে পুলিশের সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৬
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি :: পোনাবালিয়া ইউনিয়নের হাজরাগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জমি নিয়ে শালিশ বৈঠকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন আহত।
স্থানীয়রা জানায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের হাজরাগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জমি নিয়ে বিকাল ৪টায় শালিশ বৈঠকের মধ্যে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উক্ত সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্রুত্বর আহতরা হলো মো. জাহিদুল ইসলাম (৩০) পিতা মালেক হাওলাদার, বাওতিতা, মো. সালাম হাওলাদার (৫০) পিতা মো. খবির হাওলাদার গ্রাম খুলনা, এই দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরে-বাংলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম বাদশা (৪৫) পিতা মো. সবির হাওলাদার বাওতিতা, মো. নজির হাওলাদার (৬০) পিতা সবির হাওলাদার, বাওতিতা এই দুইজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
তারা আরো জানায়, মো. তাওহীদ তালুকদার (৩২) ঢাকা ভুয়েট ছাত্রলীগ নেতা,পিতা আ: রহমান তালুকদার, কালাম তালুকদার পিতা মজিদ তালুকদার ,রাসেল খান পিতা সেলিম খান ,উভয় সাং হাজরাগাতিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন। শালিশ বৈঠক চলাকালিন এরা ক্ষমতার দাপটে থানা পুলিশের সামনে এ হামলা চালিয়েছে বলে জানান।
অপরদিকে মো. তাওহীদ তালুকদার (৩২) ঢাকা বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা, পিতা আ: রহমান তালুকদার, কালাম তালুকদার পিতা মজিদ তালুকদার ,রাসেল খান পিতা সেলিম খান এরাও গ্রুত্বর আহত হয়েছে তাদেরকেও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গ্রুত্বর আহতদের ঝালকাঠি সদর থানায় নিয়ে গেলে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সুস্থ্য হয়ে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন।
ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালু বোঝাই বলগেট ডুবে যায়
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির নলছিটির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চেরে ধাক্কায় বানুমতি নামের একটি বালু বোঝাই বলগেট ডুবে যায়। (১৮ মার্চ) শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঝালকাঠি থেকে সাড়ে তিনশ যাত্রী নিয়ে ঢাকাগামী লঞ্চ ফারহান-৭ সন্ধ্যায় নলছিটি লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর সুগন্ধা নদীর মল্লিকপুর এলাকায় ওই বলগেটটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বালু বোঝাই বলগেটটি ডুবে যায় এবং লঞ্চের সামনের কিছু অংশ ফেটে যায়। বলগেটে থাকা ৫ জন স্টাফকে ট্রলারে গিয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে ঝালকাঠি অভিযান-১০ লঞ্চের ভয়াভহ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সকলের হৃদয়ে গাথা সেই কথা মনেপড়ে তাই যাত্রীদের তোপেড় মুখে লঞ্চটি সারদল এলাকায় চড়ে ভিড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে লঞ্চ থেকে নেমে যায়। ঘটনার পরপরই তুষখালী থেকে ঢাকাগামী পূবালী-৭ নামক একটি লঞ্চ দুর্ঘটনাস্থলে এসে কিছুযাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে অনেক যাত্রীই এ ঘটনার পর তাদের যাত্রা বিরতি করেছেন। খবর পেয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
নলছিটি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, লঞ্চটি আপাতত মেরামত না করা পর্যন্ত সারদল এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীরে থাকবে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠিতে অগ্নিকান্ডে ৫টি দোকান পুড়ে ভষ্মীভুত
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম বাজারের মার্কেটে আকষ্মিক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫টি দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছে। শুক্রবার, ১৮ মার্চ দিনগত রাত ১টার দিকে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে এ আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করছেন দোকানদাররা।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ীতে চলে যান। রাত প্রায় একটার দিকে আগুন দেখে লোকজনের চেঁচামেচির শব্দশুনে দোকান মালিকরা এসে দেখেন তাদের দোকান ঘর গুলোতে আগুন জ্বলছে।
সাথে-সাথেই মসজিদের মাইকে আগুনের কথা জানানো হলে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ।
আগুনে সঞ্জিবের কাপড়ের দোকান, মো.সাইদুল ইসলামের মুদি দোকান, মোঃ ইমান মাঝির মুদি দোকান, মোঃ বাদশা মিয়ার মুদি দোকান ও মনিরের হোটেল পুড়ে ভষ্মিভুত হয়ে যায়। আগুনে দোকানগুলির সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজনের চেষ্ঠায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও দোকান ঘর ও মালামালগুলি আর রক্ষা করা যায়নি।
ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে নগ্রামের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। আগুন লাগার সাথে সাথে ঝালকাঠি ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে ফোন করা হলে ঝালকাঠি থেকে ফায়ারসার্ভিসের গাড়ী নবগ্রাম পৌঁছোতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগলে তৎক্ষণে ৫টি দোকান পুড়ে ভষ্মীভুত হয়ে যায়।
তবে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেনি বলে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল ও কাপুড়ের দোকান মালিক জানায়,জমি-জমা বিক্রি করে এ দোকানটি করেছিলাম। আমাদের পুঁজি বলতে এ দোকানটাই। তাও আগুনে নিয়ে গেলো। এখন আমাদের মা-বাবা সন্তানদের নিয়ে কি ভাবে বাঁচবো এ কথা বলতে বলতে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা জানান নগদ টাকা ও মালামালসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে তাদের। সাইদুল, বাদশা ও মনির জানান,আগুনে তাদের সহায় সম্বল সব নিয়েছে। তাদেরও প্রায় ৬-৭ লক্ষটাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন তাদের আর কিছুই নাই।
এ বিষয়ে ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী বলেন,বাজারের মূল সড়ক নবগ্রাম মডেল হাই স্কুল ভবন এবং নবগ্রাম ব্রিজের এপ্রোস এর গাইড ওয়ালের মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ায় ফায়ারের গাড়ী প্রবেশ করতে না পারায় বিকল্প সড়ক দিয়ে ঘুরে আসতে একটু সময় লেগেছ। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দশলক্ষাধিক টাকা। আমরা এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিভাঁতে সক্ষম হয়েছি।
ঝালকাঠিতে অটো-ম্যাজিক মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত ১
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠিতে অটো-ম্যাজিক মুখোমুখি সংর্ঘষে অটোতে থাকা এক যাত্রী নিহতের ঘটনা ঘটে। ১৯ মার্চ শনিবার দুপুর আনুমানিক বারোটার সময় বরিশাল-নবগ্রাম-আটঘরকুড়িয়ানা সড়কের ঝালকাঠি সদর উপজেলাধীন উদচড়া নামক স্থানে নবগ্রাম থেকে একটি অটো হিমানন্দকাঠি যাওয়ার সময় আটঘর থেকে আসা একটি ম্যাজিক অটোগাড়ীটিকে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। এতে অটোর পিছনের ছিটে থাকা একযাত্রীর প্রচন্ড আঘাত পেলে স্থানীয়দের সহযোগীতা তাকে নিয়ে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পথি মধ্যেই তার মৃত্যু হয় বলে জানাযায়।
নিহত ব্যক্তি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নস্থ দোগলচিড়া গ্রামের শাহআলম খানের পুত্র স্বপন খান (৩২)। স্বপন পেশায় একজন অটো চালক ছিলেন। তার ৭ বছর ও দেড় বছর বয়সি দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বপনের মৃত্যুতে দোগলচিড়া গ্রামে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।