শনিবার ● ১৯ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » গুনীজন » সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আর নেই
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আর নেই
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আর নেই। শনিবার সকালে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সাহাবুদ্দীনের জামাতা অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সাহাবুদ্দীন আহমদের দুই ছেলে গুলশানের বাসায় বাবার সঙ্গেই থাকেন। তার দুই মেয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
নব্বইয়ের আন্দোলনে এইচ এম এরশাদ সরকারের পদত্যাগের পর নাটকীয়তার মধ্যে আকস্মিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে আসেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।
এরশাদ পদত্যাগ করার পর রাষ্ট্রপতির পদে কে আসবে, নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে থাকবেন- সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো একমত হতে পারছিল না। পরে প্রধান বিচারপতিকে সেই দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। আবার সুপ্রিম কোর্টে ফেরার শর্ত দিয়ে সাহাবুদ্দীন আহমদ তাতে রাজি হন।
মওদুদ আহমেদ উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলে সেই দায়িত্বে আসেন সাহাবুদ্দীন। ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়লে সাহাবুদ্দীন হন রাষ্ট্রপতি। পরে তার নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।
নির্বাচনের পর আবার প্রধান বিচারপতির পদে ফেরেন তিনি। তার সেই ফেরার জন্য দেশের সংবিধানেও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। চাকরির মেয়াদ শেষে ওই পদ থেকেই অবসরে যান তিনি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্বে ছিলেন।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে ২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান সাহাবুদ্দীন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ।
তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ড. সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তালুকদার রিসাত আহমেদ; তিনি একজন সমাজসেবী ও এলাকায় জনহিতৈষী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সাহাবুদ্দীন নান্দাইলে তার বোনের বাড়িতে বড় হন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে অহিদ উদ্দিনের শোক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : লন্ডন, ১৯ মার্চ, ২০২২ :: বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে বিকল্পধারা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এবং রেডব্রিজ কাউন্সিলের চার্চফিল্ড ওয়ার্ডে লিবডেমের প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আজ ১৯ মার্চ শনিবার সকালে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর খবর জেনে যুক্তরাজ্যের বিকল্পধারা ও লিবডেম নেতা মোহাম্মদ অহিদ উদ্দিন গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এক শোকবাণীতে বলেন, ৯০-এর স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের অবদান দেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যুতে আমরা বাংলাদেশের একজন কৃতি সন্তানকে হারালাম।
অহিদ উদ্দিন মরহুম বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, আল্লাহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের এই শোক ও বেদনা সইবার শক্তি প্রদান করুন।