মঙ্গলবার ● ২২ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরের জাতীয় নির্বাচনের আদলে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন
গাজীপুরের জাতীয় নির্বাচনের আদলে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যাপক উত্সাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ অনুশীলনের জন্য এ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়৷
শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার সামিয়া আক্তার রীতু জানায়, বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে চকলেট, মুড়ি, বিস্কুট খাওয়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি৷ কারণ, নির্বাচনের তপছিল ঘোষণার পর সেটা হবে ঘুষ৷
৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নির্বাচনে ক্লাস ক্যাপ্টেন প্রার্থী হুমায়রা আকন্দ তুষ্মী জানায়, ভোট না দিলে নির্বাচনের পর খবর আছে৷ এরকম কথা কাউকে বলিনি৷ এসব বিষয় নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল৷ আমরা বিষয়গুলো ভাল করে জেনেছি এবং মেনেছি৷
৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোহানা জানায়, প্রার্থীরা বিদ্যালয় চলাকালীন অ্যাসেম্বলী এবং বিরতির সময় ভোট প্রার্থনা করেছে৷ একই মঞ্চ থেকে প্রত্যেক প্রার্থী নিজেদের যোগ্যতার তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করে৷ আমি স্বাধীনভাবে আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি৷
বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা জানায়, নিজের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছি৷ বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন কোনো প্রচারণা করিনি৷
জাতীয় নির্বাচনের আদলে তিনজন নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করা হয়৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার তমা৷ সে জানায়, নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৭৭০ জন৷ ৬ মার্চ তফসিল ঘোণা করা হয়৷ ৮ মার্চ মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়৷ মনোনয়নপত্রে ক্রটি না থাকায় জমাদানকারী প্রত্যেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সুযোগ পায়৷ ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে৷ কেউ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনি৷ ফলে ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়নি৷ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় প্রার্থীরা সকলেই ফলাফল মেনে নিয়েছে৷
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আব্দুল কাদির জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে শিক্ষকেরা আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন৷ শিক্ষার্থী অভিবাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য মুজিবুর রহমান বলেন, স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন শিক্ষার অন্যতম প্লাটফরম৷ ভবিষ্যতে এ শিক্ষা কাজে লাগিয়ে তারা জাতীয় জীবনে অবদান রাখতে পারবে৷
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেন, কোনো অভ্যাস প্রতিষ্ঠিত করতে হলে চর্চার প্রয়োজন৷ স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চার একটি অংশ৷ নির্বাচনে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে৷ একজন ভোটারের আটটি ভোট৷ পাঁচটি শ্রেণীকক্ষের প্রতি শ্রেণীতে একটি ভোট বাধ্যতামূলক৷ তিনটি ভোট যে কোনো শ্রেণীর প্রার্থীর জন্য উম্মুক্ত৷