রবিবার ● ২০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
ঝালকাঠিতে কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। ২০ মার্চ রোববার সকালে জেলা শহরের পূর্ব চাঁদকাঠিতে ২ নং ওয়ার্ডের বাগান বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে রমজান উপলক্ষ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। অসংখ্য নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ পণ্য কিনতে ভিড় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার মো: শাহ আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহার, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন সুরুজ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আরিফ খান ও ঝালকাঠি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকতারাও এসময় উপস্থিত ছিলেন। জেলায় মোট ৫৪ হাজার পরিবার টিসিবির এ সুবিধা পাবেন।
সামান্য কমদামে পন্য পাওয়ার জন্যে দীর্ঘলাইনে দাড়িয়ে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে টিসিবির পন্য সংগ্রহ করতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সী মানুষদের।
ঝালকাঠি আবাসনে ১০টি বসত ঘর অগ্নিকান্ডে পুড়ে ভষ্মিভুত ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি সদর উপজেলাধীন কল্যানকাঠি আবাসনে অগ্নিকান্ডে ১টি ব্রাকের ১০টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে নিস্ব হয়ে গেছে আবাসনে বসবাসরত এ দরিদ্র অসহায় পরিবারগুলো। ২০ মার্চ রোববার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় কল্যানকাঠি আবাসনের ১ নং ব্রাকের একটি ঘর থেকে আগুনের ধোয়া উড়তে দেখে স্থানীয়রা আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে আসেপাশ থেকে লোকজন দৌড়ে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করলে বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকায় প্রাথমিক অবস্থায় স্থানীয়রা আগুন নেভানোর বিষয় আতংক গ্রস্থ থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে ঝাপিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টায় ঝাপিয়ে পড়লেও ততক্ষনে মুহূর্তের মধ্যে পুরো ব্রাকটিতেই আগুন ধরে আগুনের লেলিহান শিখায় ১০টি ঘরের আসবাব পত্র সহ মালামাল পুড়ে যায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। আগুন লাগার বিষয়টি বরিশাল ফায়ার সার্ভিস খবরপেয়ে তাদের ২টি ইউনিট ঘটনা স্থানে ছুটে আসে। মোট ৪টি ইউনিটের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে ওই ব্র্যাকের ১০টি ঘরের মালামালসহ ঘরগুলো পুড়ে যায়।
আবাসনের ব্রাকটির ১০টি কক্ষের মধ্যে ৫টি পরিবার বসবাস করতো। বসবাসকারীরা হলেন, আকলিমা বেগম, আদম আলী, মনির হোসেন, জুয়েল ও তাসলিমা বেগম। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধ্যানে বেড়িয়ে পড়েন তারা। বিকেলে বা সন্ধ্যায় ঘরে ফিরেন। কিন্তু আগুন লাগার খবরে ছুটে এসে দেখেন, তাদের শেষ আশ্রয় স্থালটি আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে। সঞ্চিত সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। অনেক জমানো টাকা, ধান ও মূল্যবান জিনিসপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামালসহ ঘরগুলো পুড়ে গেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হলেও ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। নিস্ব এ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার সালাউদ্দিন মিয়া জানান, ঘর সংলগ্ন পেছনের রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার সময় ওই ব্যাকের ১০টি ঘরে কেহই ছিল না, ঘরগুলো তালাবদ্ধ ছিল। ঘরের লোকজন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন স্থানে ছিল । আগুন নিভাতে ঘরের তালা কেটে ভিতরে ঢুকতে হয়েছে বলেও জানায় ফায়ার সার্ভিস।
এ বিষয় ঝালকাঠি সদর ইউএনও সাবিকুন নাহার জানান, আগুনের বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিদর্শন করেছি ক্ষতি গ্রস্থদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বরেন, ব্রাকটির প্রত্যেকটি ঘর ও ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র পুড়ে গেছে বসবাসকারীরা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এ সময় তিনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতা করা হবে বলেও জানান।