বৃহস্পতিবার ● ২৪ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাঙামাটির কাঠ কর্ণফুলী ও হালদা নদী দিয়ে পাচার হচ্ছে
রাঙামাটির কাঠ কর্ণফুলী ও হালদা নদী দিয়ে পাচার হচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটি পার্বত্য উত্তর বন বিভাগ ও দক্ষিণ বন বিভাগের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা থেকে নদী পথে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদী দিয়ে প্রতিদিন হাজার-হাজর ঘনফুট কাঠ পাচার হচ্ছে। পাচার হওয়া কাঠ কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদীর তীরে গড়ে উঠা করাত কলে স্তুপ করে রেখে বিভিন্ন ভাবে সাইজ করে এসব কাঠ পাচার করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী হাট, কচুখাইন এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে রয়েছে ২০টির অধিক করাত কল। কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত কচুখাইন গনি মিয়ার ঘাট, উরকিরচর ইউনিয়নের মদুনাঘাট এলাকায় রয়েছে আরো দশটি করাত কল।
প্রতিদিন পার্বত্য জেলার রাঙামাটি জেলার কাউখালী, করইছড়ি, কাপ্তাই, রাজস্থলী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালীর পাহাড়ী এলাকা থেকে বিপুর পরিমান বৃক্ষ নিধন করে কর্ণফুলী নদী দিয়ে বাঁশের চালার নীছে আড়াল করে বেধে যান্ত্রিক নৌযানে করে কাঠ পাচার করছে অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ীরা। তারা হালদা নদী ও কর্নফুলি নদীর তীরে গড়ে উঠা করাত কলে এনে স্তুপ করে রাখে।
এছাড়াও প্রতিদিন কর্ণফুলী নদী দিয়ে সংরক্ষিত বন এলাকার নিধন করা বৃক্ষ চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে পাচার করে যাচ্ছে। নদী পথে ও সড়ক পথে প্রতিদিন বিপুল পরিমান কাঠ অবৈধ ভাবে পাচার করা হলেও সংশ্লিষ্টরা নিরবতা পালন করে আসছে। রাউজানের করাত কল গুলো গিলে খাচ্ছে সংরক্ষিত বন এলাকার নিধন করা কাঠ। বন বিভাগ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নাকের ডগায় সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে কাঠ পাচার ও করাত কলে স্তুপ করে রাখা কাঠ সাইজ করে পাচার করার হিড়িক পড়ছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জ অফিসার খসরুল আমিনের কাছে ফোন করে জানতে তিনি বলেন, রাউজানে লাইসেন্স ধারী করত কল রয়েছে ৩১টি। লাইসেন্স বিহীন অবৈধ করাত কল কয়টি রয়েছে তা আমার জানা নেই। কর্ণফুলী নদী দিয়ে কাঠ পাচারের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের আওয়াতাধিন রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ সহ কয়েকটি বিট অফিস। সর্তা খাল দিয়ে কাঠ পাচারের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব সর্তা ফরেষ্ট বিটের।
আমার আওতাধিন এলাকায় লাইসেন্স বিহীন অবৈধ যেসব করাত কল রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।