বৃহস্পতিবার ● ২৪ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মানিকছড়িতে টিসিবি’র কার্ড বাণিজ্য : মেম্বারের অস্বীকৃতি
মানিকছড়িতে টিসিবি’র কার্ড বাণিজ্য : মেম্বারের অস্বীকৃতি
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)’র পন্য বিতরণে জনপ্রতিনিধি কর্তৃক ফ্যামিলি কার্ড প্রতি ৫০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় পুরো মানিকছড়ি জুড়ে তোলপাড় চলছে।
খাগড়াছড়ি জেলায় ৮২হাজারের অধিক পরিবারকে টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে মানিকছড়িতে কার্ড পেয়েছে ২১৩৬টি পরিবার। ৫নং ওয়ার্ড পেয়েছে ২৬৯টি পরিবার।
মানিকছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ভূক্তভোগীদের অভিযোগ এ ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম নিজ এলাকায় তার ছোট ভাই রাসেলকে দিয়ে টিসিবি’র কার্ড বিতরণকালে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে চা-নাস্তা বাবদ আদায় করেছেন।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দখা গেছে, মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল থেকে মানিকছড়ি এলাকায় টিসিবির পন্য বিতরণকালে ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ টাকা নেয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফরুকের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
ভূক্তভোগীরা সাংবাদিকদের কাছে জানান-কয়েকদিন ধরে মেম্বার আসাদুল টিসিবি’র কার্ড দেয়ার আশ্বাসে তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ৫০ টাকা করে নেয়। ওই সময় আসাদুল তাদের টিসিবি’র মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে পন্য দেয়ার কথা বলেন।
অভিযোগকারি ভূক্তভোগীরা হলেন- মানিকছড়ি গুছগ্রাম ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বিপ্লব, মোঃ সাজু, মোঃ আব্দর রহিম বাদশা- সাবেক ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ’র সেক্রেটারি, আবু কালাম, আব্দুল মালেক-উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সাহিদা আক্তার পলিসহ অনেকে। এরা জানান- তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে মেম্বার আসাদুল টিসিবি’র কার্ড দেয়ার সময় ৫০ টাকা করে তার ছোট ভাই রাসেলের মাধ্যমে আদায় করেছেন।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ হালিমা বেগম-উপজেলা মহিলা লীগের নেত্রী বলেন, উপর থেকে থুথু ফেললে নিজের গায়েই পড়ে। আমার দলের লোক হয়ে গুচ্ছগ্রামের গরীব অসহায় জনগণের কাছ থেকে টিসিবি’র কার্ড বাবদ আসাদুল মেম্বার ৫০টাকা করে নিয়েছে বলে শুনেছি, এটা দুঃখজনক ও দলের জন্য লজ্জ্বাজনক।
এ ব্যাপারে ১নং মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক জানিয়েছেন-মেম্বার আসাদুল এর বিরুদ্ধে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে কার্ডের জন্য ৫০ টাকা করে আদায় করার বিষয়ে ভূক্তভোগীরা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরীকে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আসাদুল বলেন, তিনি কারো কাছ থেকে টাকা নেননি। এলাকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্বাচনী বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে আদায়কৃত টাকা কোন ফান্ডে জমা হয়েছে তা জানতে চেয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।