শনিবার ● ২৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
রাঙামাটিতে উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এর নেতৃত্বে জাতীয় পর্যায়ের গৃহীত কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রতুষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাঙামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ স্থাপিত বঙ্গবন্ধু প্রকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণসহ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
২৬ মার্চ শনিবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তথ্য অফিসার ডজী ত্রিপুরা’র উপস্থাপনায় মাইনী মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। অনুষ্ঠান শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরবর্তীতে অনুষ্ঠানের সূচি অনুযায়ী পবিত্র ধর্মগ্রস্থ থেকে পাঠ ও তর্জমা করার মাধ্যমে মূল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চেয়ারম্যান বলেন যে, ২৬শে মার্চ আজকের দিনটি প্রত্যেকের জন্য আনন্দের দিন। এ দিনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা বিশে^র দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারালেও তাঁর আদর্শ ও নীতিকে হারায়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে, স্বাধীনতার বিরোধী কুচক্রীমহল স্বাধীন বাংলাদেশকে নানা যড়যন্ত্রের মাধ্যমে অকার্যকর করতে চেয়েছিল। তাৎকালিন সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা স্বাধীনতার বিরোধীদেরকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরী করে দিয়েছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল যাতে এদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে না পারে। স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রীমহল আর যাতে কোন যড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে না পারে তিনি এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
ভাইস চেয়ারম্যান বলেন যে, ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। হেনরি কিসিঞ্জার একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দূরদর্শি রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশে^র দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এছাড়া আলোচনা সভায় বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব), সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব), সদস্য পরিকল্পনা মো. জসীম উদ্দিন (উপসচিব), মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখইন, রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, টেসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিলুফার নাজনীন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভায় বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্তসচিব), সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ, সদস্য বাস্তবায়ন সরকারের উপসচিব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, সদস্য পরিকল্পনা মো. জসীম উদ্দিন, মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এয়াছিনুল হক, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কল্যানময় চাকমা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিলুখার নাজনীন, রাঙামাটির চলতি দায়িত্বে নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনজু মানস ত্রিপুরা, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, বাজেট ও অডিট অফিসার মো. নুরুজ্জামান, তথ্য অফিসার ডজী ত্রিপুরা, সহকারি পরিচালক সাগর পাল, সহকারি প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম, সহকারী পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড উর্ধ্বতন কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অংশগ্রহণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা ও শহদী বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বীরাঙ্গানাদের আত্মার শান্তি কামনায় বোর্ডের জামে মসজিদে মোনাজাতসহ তবলছড়িস্থ আনন্দ বিহার এবং তবলছড়িস্থ শ্রী শ্রী রক্ষাকালি মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভা আয়োজন করা হয়।