মঙ্গলবার ● ২৯ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া ফলিক এ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া ফলিক এ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর রেবা খাতুন (১২) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে সদর উপজেলার উত্তর সমশপুর গ্রামের সাগর হোসেনের মেয়ে এবং ওই স্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় ফারজানা ও আসমা নামের আরো দুই শিক্ষার্থী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইউসুফ আলি জানান, ছাত্রীটি অন্যান্য দিনের মত সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্কুলে আসে। রবিবার দেশ ব্যাপী কৈশর কালীন পুষ্টি নিশিচত করতে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা আইরন ফলিক এ্যসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হঠাৎ করে রেবা খাতুনসহ ৩ টি মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রেবাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির বাবা সাগর হোসেন বলেন, আমার মেয়ে সকালে বাড়ি থেকে ডিম আর মিষ্টিকুমড়ার তরকারি দিয়ে ভাত খেয়ে স্কুলে গেছে। আমার মেয়ের তো রোগ নেই। কেন আমার মেয়ে মারা গেল তা তদন্ত করার দাবী করছি আমি। হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার বিশ^াস বলেন, ৩ টা মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১টা মেয়ে মারা গেছে। আমরা দাবী করব এই মৃত্যুর সঠিক কারণ যেন স্বাস্থ্য বিভাগ দ্রুত বের করে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুজ্জামান বলেন, মেয়েটিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তবে আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোন কারন ছিল তা আরো পরীক্ষা নীরিক্ষা করা বা ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: শুভ্রা রাণী দেবনাথ বলেন, আয়রণ ট্যাবলেট থেকে মৃত্যুর কোন নজির নেই। এমনকি ঔষধ যদি মেয়াদউত্তীর্ণও হয় তবুও সব্বোর্চ পাতলা পায়খানা হতে পারে। তারপরও মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করার জন্য সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আনোয়ারুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গ^ঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
কোমল পানীয় ভেবে কিটনাশক খেয়ে শিশুর মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ব্রম্মপুর গ্রামে কোমল পানীয় ভেবে সেভেন আপের বোতলে রাখা ঘাস পুড়ানো কীটনাশক ওষুধ খেয়ে হাসানুল ইসলাম নামে এক শিশু ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। হাসানুল ইসলাম উপজেলার ব্রম্মপুর গ্রামের নিপুল হোসেনের ছেলে এবং ব্রম্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাসানুল ইসলাম গত ২৫ মার্চ দুপুরের দিকে ভুল করে কীটনাশক খেয়ে ফেলে। ঘটনাটি জানার পর তাকে চিকিৎসার জন্য শৈলকুপা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎকরা তাকে পরের দিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাসানুল মারা যায় বলে জানান তার বাবা নিপুল হোসেন। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ঘাস পুড়ানো কীটনাশক ওষুধ খেয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় হাসানুল ইসলাম নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
৪০ ফুট উচ্চতায় আটকে পড়া অসুস্থ্য শ্রমিককে উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস বাহিনী
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে নির্মাণাধীন চালকলে প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতায় আটকে পড়া অসুস্থ্য শ্রমিককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর ফায়ার ফাইটাররা। প্রায় আধা ঘন্টার শ^াসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌছে দেওয়া হয়। অসুস্থ্য শ্রমিকের নাম মোঃ শহিদ আলী (৫৫)। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার শষা গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। রোববার বিকাল ৪ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের অদুরে সাদমান অটো রাইচমিলের পাসে নির্মাণাধীন স্টিল স্ট্রাকচার ভবনের ২য় তলার উপরে অন্যদের সাথে কাজ করছিল শহিদ আলী। হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে স্টিলের সাথে আটকা পড়েন তিনি। এসময় খবর দেওয়া হয় ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস অফিসে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছায়। এসময় ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ সুমন আলীর নেতৃত্বে ফায়ার ফাইটার মোঃ মামুনুর রশিদের বিচক্ষণ ও সাহসিকতার সঙ্গে শহিদকে উদ্ধার করে। অভিযান দেখতে তখন এলঅকার শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, চল্লিশ পুট উচ্চতা থেকে তাকে নামানোর কোন উপায় ছিল না। এসময় স্টেশন অফিসার সুমন আলীর নেতৃত্বে একটি মই ব্যবহার করে উপরে উঠে পড়ি। ঝুকি থাকলেও অন্য আরো সহযোগী ফায়ার ফাইটারদের সহযোগীতায় তাকে নীচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হই। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ সুমন আলী জানান, অভিযানটি ছিল খুবই ঝুকিপূর্ণ। সামান্য ভুল সিদ্ধান্তে ভিকটিমের পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।