বুধবার ● ৩০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চুয়েটে বিশ্ব পানি দিবস পালিত
চুয়েটে বিশ্ব পানি দিবস পালিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের উদ্যোগে Groundwater: Making the Invisible Visible স্লোগানে বিশ্ব পানি দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ৩০ মার্চ বুধবার সকালে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গোল চত্বর ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এ পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের সময় শিক্ষার্থীরা ভূগর্ভস্থ ও ভূপৃষ্ঠ পানির দূষণ ও অপচয়রোধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে।
র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে বিশ্ব পানি দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে উপাচার্য মহোদয় আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কাটেন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৗশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। এতে সভাপতিত্ব করেন পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের প্রভাষক জনাব মো. মুগদিউল ইসলাম। এছাড়া বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে ভূগর্ভস্থ পানির গুরুত্ব নিয়ে আগামি ১৭-১৮শে মে, ২০২২ খ্রি. মেকানিক্স অলিম্পিয়াড, পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, বলা হয়ে থাকে পানির অপর নাম জীবন। ভূপৃষ্ঠের ৭১% পানি হলেও এর মধ্যে ৯৭% লবনাক্ত ও ৩% পানযোগ্য। আর ৩% পানযোগ্য পানির স্থায়ী বরফ ও তুষারের পরিমাণ ৬৮.৭%, ভূগর্ভস্থ পানি ৩০.১%, ভূপৃষ্ঠস্থ পানি ০.৩% এবং অন্যান্য ০.৯%। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ ভূগর্ভস্থ পানি পান করেই জীবন ধারণ করেন। ভূগর্ভস্থ পানি যেটা অদৃশ্যমান। এজন্য ভূগর্ভস্থ পানিকে দৃশ্যমান করতেই এবারের প্রতিপাদ্য “ভূগর্ভস্থ পানি: অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব”।
চুয়েটে আগামিকাল “মুজিববর্ষ কার্নিভাল” উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজন
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চুয়েট-এর যৌথ আয়োজনে হাজার বছররের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামিকাল ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার. “মুজিববর্ষ কার্নিভাল-২০২২” উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় আনন্দ র্যালির মাধ্যমে কার্নিভালের দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় “মুজিব দর্শন ও সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স. আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ.ব.ম. ফারুক। ভার্চুয়াল সেমিনারের মডারেটর হিসেবে থাকবেন চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ।
পরে বেলা ১২.০০ ঘটিকায় চুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত মুজিববর্ষ কার্নিভালের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং দি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং গেস্ট অব অনার থাকবেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। সভায় সভাপতিত্ব করবেন চুয়েটের মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া কার্নিভাল উপলক্ষ্যে গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”-এর উপর কুইজ প্রতিযোগিতা, “মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশ” শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, আইডিয়া শো-কেসিং প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থী বনাম শিক্ষক ও কর্মকর্তা বনাম কর্মচারী প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আতশবাজি প্রভৃতি।