বুধবার ● ৩০ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ৫ পুলিশকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল ইজিবাইক চালকরা
৫ পুলিশকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল ইজিবাইক চালকরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী এলাকার শরিফুলের তেল পাম্পের কাছে মঙ্গলবার বিকালে ইজিবাইক চালক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। মহাসড়কে অবৈধ থ্রিহুইলার চালাচল বিরোধী অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বেশ কিছু ইজিবাইক ও থ্রিহুইলার আটক করলে চালকরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের ওসি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী জানান, বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে ঝিনাইদহ ঢাকা মহাসড়কের তেল পাম্পের নিকট হাইওয়েতে অবৈধভাবে চলাচলকারি থ্রী হুইলার গাড়ি আটক করতে গেলে ইজিবাইক চালকরা রাস্তা বন্ধ করে হাইওয়ে পুলিশকে বাঁধা দেয় এবং তাদের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। এই অবস্থায় তারা ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে ইজিবাইক চালকদেরকে হটিয়ে দেয়। এই সময় চারকরা জোটবদ্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে অন্তত ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ইজিবাইক চালক সবদুল হোসেন জানান, সড়কে চলাচল করতে গিয়ে হাইওয়ে পুলিশ প্রতিনিয়ত হয়রানী করছেন। মামলা দিয়ে চালকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। ইজিবাইক ধরেই মামলা দেওয়া হচ্ছে। এতে হতদরিদ্র চালকরা ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। এনজিও থেকে ঋন নিয়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করছেন। এর একটা প্রতিকার দাবী করেন ইজিবাইক চালকরা।
শত শত বাসযাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি ও হয়রানী চরমে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রো-কার শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি ওলিয়ার রহমান খান লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা। এতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন সড়কে যানজটের পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। বৃদ্ধ, শিশু ও নারী যাত্রীদের গরমে হাসফাস করতে দেখা যায়। বেলা চারটার দিকে পুলিশ দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। পুলিশ ও শ্রমিক সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের জমতলা গ্যারেজ এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রো-কার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওলিয়ার রহমান ও সহসভাপতি মহাব্বত হোসেন। এ সময় প্রতিপক্ষ একটি গ্রপ মহাব্বতকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সভাপতি বাধা দিলে তাকে লাঞ্চিত করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওলিয়ার সমর্থিত শ্রমিকরা শহরের আরাপপুর, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, হামদহ ও বাসটার্মিনাল এলাকায় রাস্তার উপরে গাড়ি রেখে রাস্তা বন্ধ করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দীর্ঘ অবরোধে বাসযাত্রীরা চরম হয়রানীর শিকার হয়। দুপুরে পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে জরুরী সভায় সমঝোতা হলে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা। সমঝোতা সভায় ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সোহেল রানা, হাইওয়ে ওসি বজলুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ ও রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ওলিয়ার রহমান সমর্থিত শ্রমিকরা অভিযোগ করেন এই হামলার সময় মাছ প্রতিকের মাছ সাইদ, রাজন ও লিমণসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন অংশ গ্রহন করে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
পঞ্চাশোর্ধ নারীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পানামী গ্রামে পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষনে ব্যার্থ হয়ে ওই নারীকে পিটিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই নারীর ছেলে কবির হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। এজাহার সুত্রে জানা গেছে, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে ঘটনার দিন রাতে পঞ্চাশোর্ধ এক নারী ঘরে বসে ছিলেন। রাত ৯টার দিকে গ্রামের আতর আলী জোয়ারদারের ছেলে স্বপন অসৎ উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে। স্বপন অনেক আগে থেকেই ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। ঘরে ঢুকে স্বপন ওই নারীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ওই নারীর চিৎকারে তার ছেলে কবিরসহ বাড়ির আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এক পর্যায়ে স্বপনকে ঘরের মধ্যে তারা আটকে ফেলে। স্বপনকে আটকানোর খবর পেয়ে এজাহারে বর্নিত আসামী বাহারুল, মিটুল, আব্দুল্লাহ ও আব্দুল মালেকসহ আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তি জোটবদ্ধ হয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে স্বপনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আসামী আব্দুল্লাহ লোহার রড দিয়ে ওই নারীকে আঘাত করলে তার নাক ফেটে যায়। মায়ের রক্তাক্ত জখম দেখে ছেলে কবির এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে আসামীরা। আহত ওই নারীকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঝিনাইদহ থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আহত নারীর ছেলে রবিউল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) ইমদাদুল হক মঙ্গলবার বিকালে জানান, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। ভিকটিমকে এজাহার দিতে বলা হয়েছিল। যদি তারা এজাহার দেন, তবে অবশ্যই মামলা হবে।