বৃহস্পতিবার ● ৩১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ইজিবাইকে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে যুবককে পিটিয়ে জখম
ইজিবাইকে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে যুবককে পিটিয়ে জখম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারের ইজিবাইকে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে যুবককে জখম করে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় ২৯শে মার্চ বুধবার ঝিনাইদহ সদর থানার একটি এজাহার দাখীল করেছেন ভুক্তভোগী যুবকের পিতা। ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্বে আছেন সদর থানার এসআই সিহাব হোসেন। এজাহার মোতাবেক ভুক্তভোগী যুবকের পিতা হানিফ ব্যাপারী উল্লেখ করে বলেন, আমার পুত্র মোঃ শুকুর আলী (২০) একজন ইজিবাইক চালক। গত ৩০ই মার্চ বুধবার সকালে ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে ইজিবাইক স্ট্যান্ডে ইজিবাইকে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে মৃত দুখু সৈয়ালের ছেলে ২নং আসামী ইউসুফ (২৮) এর সাথে আমার পুত্র শুকুর আলীর কথা কাটাকাটি হলে বাজারের স্থানীয় লোকজন উভয়ের মধ্যে ঘটানাটি মিমাংসা করে দেয়ার পর হলিধানী বাজার থেকে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে একই দিন সকাল ১০.৩০ ঘটার দিকে হলিধানী আলিম মাদ্রাসার সামনে পৌছানো মাত্রই মারাত্মক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার পুত্রকে গতিরোধ করে বেনি আমিনের ছেলে ১ নং আসামী ওলিউল্লাহ (২৫) ও তার হুকুমে ইউসুফ ও ওসমানের (মটরসাইকেল মিস্ত্রী) ছেলে ৩ নং আসামী জীবন (২১)সহ অজ্ঞানামা আসামীরা লোহার রড ও জিআই পাইপ, লাঠি দিয়ে আমার পুত্রকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে ফোলা ও বেদনাযুক্ত জখম করে। তখন আমার পুত্রের ডাকচিৎকারে আমি ও মেয়ে জামাই মৃত মাফুজ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (২৬) ছুটে এসে আমার পুত্রকে রক্ষা করতে গেলে ১ নং আসামী ওলিউল্লাহ তার হাতে থাকা রাম-দা দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে আমার জামাই সাদ্দাম এর মাথায় টিকরীর বাম পাশে কোপ মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে এসময় ২য় আসামী ইউসুফ আমার জামাইয়ের অন্ডকোষে লাথি মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ৩ নং জীবনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা লোহার রড ও জিআই পাইপ, লাঠি দিয়ে আমাদের তিনজনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে ফোলা ও বেদনাযুক্ত জখম করে। ২ নং আসামী ইউসুফ আমার পরিহিত শার্টের সামনের বুক পকেট হইতে নগত ৩,৭০০/- টাকা নিয়ে নেয়। ঐ সময় আমাদের ডাকচিৎকারে সাক্ষী রব্বানী জোয়ার্দ্দারের ছেলে কবিরুল (২৫), মৃত: বাতেনের ছেলে দীন ইসলাম (৪৫), মৃত-জহেদ আলী প্রধানের ছেলে আঃ সাত্তার (৫৫)সহ আরো অনেকে ছুটে এলে আসামীরা খুন জখমের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। সাথে সাথে সাক্ষীগনের সহায়তায় আমার জখমী জামাই সাদ্দামকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। জখমীর চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় ও নিকটতম লোকজনদের সাথে আলোচনা করে থানায় এজাহার দিতে বিলম্ব হইল। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে সাংবাদিকদের জানান তদন্তের দায়িত্বে থাকা ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই সিহাব হোসেন। এদিকে এইঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছেন এলাকাবাসি।