সোমবার ● ৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » মাটিরাঙ্গায় পাহাড় কাটার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে লাখ টাকা জরিমানা
মাটিরাঙ্গায় পাহাড় কাটার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে লাখ টাকা জরিমানা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে এক ব্যাক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
রবিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গোমতীর বলীচন্দ্রপাড়ায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালান মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভি ম্যাজিস্ট্রেট, মিজ আফরোজা হাবিব শাপলা।
এসময় মো: সুজন মিয়া নামে এক ব্যাক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ এর (১৫) ২ ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে পাহাড় কাটায় ব্যাবহ্রত ১টি স্কেভেটর জব্দ করা হয়।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভি ম্যাজিস্ট্রেট, মিজ আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, পাহাড় কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দীঘিনালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬মামলায় জরিমানা
খাগড়াছড়ি :: খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৬ মামলায় ১০ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার ৩ এপ্রিল দুপুরের দিকে বোয়ালখালি বাজারে মুদির দোকান, সিলিন্ডার গ্যাস খুচরা ও পাইকারি বিক্রয়ের দোকান এবং ইফতার বিক্রয়কারি একটি হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ফাহমিদা মুস্তফা।
মূল্য তালিকা না থাকা, ধার্য মূল্যের অধিক দামে পণ্য বিক্রয়, অনুমোদনহীন সেমাই বিক্রয় ও বিষাক্ত এমোনিয়া পাওয়া ইত্যাদি কারণে ৬টি পৃথক মামলায় ১০ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।তাছাড়া অনুমোদন হীন ৫৬ প্যাকেট সেমাই এবং বিষাক্ত এমোনিয়া বাজেয়াপ্ত করে স্পটে ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ফাহমিদা মুস্তফা জানান, এ এলাকায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খাগড়াছড়িতে বর্ণিল আয়োজনে বৈসাবিন পালনে প্রস্তুতি সভা
খাগড়াছড়ি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ বর্ণিল আয়োজনে বৈসাবিন উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বাঙ্গালী-পাহাড়ীদের বর্ষবরণ ও বিদায এ উৎসবটি এখন পার্বত্য অঞ্চলে আর সমতলে “বৈ-সা-বি” নামে পরিচিত। ত্রিপুরাদের ” বৈসুক”, মার্মাদের সাংগ্রাই, তঞ্চঙ্গা ও চাকমাদের ” বিঝু” নামের প্রথম আদ্যাক্ষর নিয়ে হয়েছে “বৈ-সা-বি”।
১৪২৪ বঙ্গাব্দে পার্বত্য অঞ্চলের একদল তরুন শিক্ষক-সংবাদকর্মী বাঙ্গালীর ঐতিহ্য বাংলা নববর্ষ থেকে ”ন” যুক্ত করে ”বৈসাবিন” নামকরণ করে।আগামী ১২এপ্রিল সকালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পাহাড়বাসীর প্রাণের উৎসব ঐতিহ্যবাহী বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু ও বাংলা নববর্ষ পালনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূইঁয়া, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের প্রতিনিধি মেজর জাহিদ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এইচ এম এরশাদ, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।