মঙ্গলবার ● ৫ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নিত্যপণ্যে জ্বলছে আগুন, নিভাবে কে ?
নিত্যপণ্যে জ্বলছে আগুন, নিভাবে কে ?
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: রমজানকে ঘিরে ঝিনাইদহ জেলাজুড়েই নিত্যপণ্যে জ্বলছে আগুন। সেই আগুন নিভানোর কেউই নেই। নিত্য প্রয়োজনীও মুল্যের উর্ধ্বগতি যেন থামিয়ে দিচ্ছে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা। চলছে সিয়াম সাধনার মাস। রমজানে বেড়েছে সকল ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। এই মুল্য বৃদ্ধি মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে গিয়ে টাকার পরিমাণে সামঞ্জস্য না হওয়াই নির্ধারিত পরিমাণের থেকে কম পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেকেই। রমজানের দ্বিতীয় দিন ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় শশা, বেগুন, ধনিয়াপাতা, লেবু, মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে গড়ে দ্বিগুণ। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ছোলা ও পেয়াজের দাম। অন্যদিকে রমজানকে ঘিরে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০থেকে ৫০টাকা। পবিত্র রমজানকে ঘিরে ২৫ টাকার শশা ৫০ টাকা,৩০ টাকার বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ৩০ টাকার ধনিয়াপাতা ৬০ টাকা,১০ কাগজি লেবু ২৫ টাকা, ৪০ টাকার কাঁচ মরিচ ৬০ টাকা, ১২ টাকা হালি পাকা কলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা। বিভিন্ন প্রকার শিং, রুই, ইলিশ সহ মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে গড়ে ১০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা। কাঁচা বাজার করতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, রমজান শুরু হয়েছে কিন্তু বাজার দাম কমেনি বরং বেড়েছে। সব মালের দামে আগুন। আমরা চলবো কি করে। বেগুন, মরিচ, শশা , লেবু সহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। পবিত্র মাসে দাম কমানো উচিৎ, অথচ বাজারে দাম বেড়েই যাচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না। পণ্য মুল্যের কাছে হার মেনে যাচ্ছি। একাধিক ভুক্তভোগী জানায় বাজারে জিনিষের দামের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের নজরদারি জরুরী ভাবে প্রয়োজন। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা প্রতি বছরই এমন সুযোগ কাজে লাগায়। বিপণন কর্মকর্তা (মার্কেটিং অফিসার) জানান, ইতোমধ্যেই বাজার মনিটরিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রমজানকে ঘিরে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যেন পণ্য মুল্য বাড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করছি কর্মকর্তারা বাজার তদারকির দায়িত্ব পালন করছে।
ঝিনাইদহে অস্ত্র মামলায় যুবকের ১৭ বৎসরের জেল
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে অস্ত্র মামলায় মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবকের ১৭ বৎসরের জেল প্রদান করেছে ঝিনাইদহের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাব্যুনাল জজ। সোমবার এ রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা। মনিরুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে। আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারী মনিরুল ইসলামের বাড়ীতে অস্ত্র মজুদ আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে আসামী মনিরুল পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ এসময় তার তার শয়ন কক্ষ হতে আটক করে। আটকরে এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মনিরুল তার শয়ন কক্ষের খাটের উপর বালিশের নীচ থেকে একটি দেশী তৈরী শার্টারগান ও তিন রাউন্ড গুলি বের করে। কিন্তু উক্ত অস্ত্র ও গুলির কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে না মনিরুল। ফলে ইহা অবৈধ বলে পরিগনিত হয়। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এসআই ফজলুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন মনিরুলের বিরুদ্ধে। এসআই শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে চার্যশীট প্রদান করেন। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে মামলা চলার পর সোমবার ঝিনাইদহের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় দোষী সাবস্ত করে দশ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ১৯ (এফ) ধারায় দোষী সাব্বস্ত করে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড করেন। আসামী জামিনে থাকায় জেল হাজতে প্রেরন করেন বিচারক। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি ছিলেন মোঃ ইসমাইল হোসেন ও আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এস.এম মশিয়ুর রহমান।