বুধবার ● ৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » জাতীয় ক্রীড়া দিবসে বিশ্বনাথে আলোচনা সভা
জাতীয় ক্রীড়া দিবসে বিশ্বনাথে আলোচনা সভা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : ‘সবাই মিলে খেলা করি-মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালি শেষে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি নুসরাত জাহান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাজমুল হোসেন। এসময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বনাথে মুসলিম সুইটমিটে ১৫০ টাকার জিলাপি ২৬০ টাকা
বিশ্বনাথ :: প্রতিটি পণ্যে বাজার দর থেকে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে সিলেটের বিশ্বনাথে ভোক্তা জনসাধরণের প্রতিনিয়ত গলা কাটছে মুসলিম সুইটমিট নামের একটি মিষ্টির দোকান। পৌরশহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় ভোক্তারাও বেশি থাকে ওই দোকানে। আর এই সুযোগে ইচ্ছেমত দাম বসিয়ে বিক্রি করছে মুসলিম সুইটমিট।
পৌরশহরে রাজমহল, বনফুল, রিফাত, পিউরিয়া, মধুবনসহ নামকরা ব্যান্ডের শপগুলোতে যে জিলাপীর কেজি ১৫০ টাকা, সেই জিলাপীর কেজি মুসলিমে ২০০ টাকা। আর শাহী/রেশমী জিলাপী নামে ছোট ছোট আকারের জিলাপী বাকি সব প্রতিষ্ঠানে কেজি ২০০ টাকা হলেও মুসলিমে প্রতি কেজি ২৬০ টাকা।
পাশাপাশি মিষ্টি, নিমকিতেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ২০-৫০ টাকা বাড়তি। এছাড়া ইফতারির পণ্য, শিশুখাদ্যসহ সবকটি পণ্যে বাড়তি দাম। এ যেন নিজের ইচ্ছেমত দাম বসানো।
স্কুল শিক্ষক কাজল দে ক্ষুব্দ হয়ে অভিযোগ করে বলেন, তাদের জিলাপীতে কি এমন আছে যে ২৬০ টাকা কেজি। পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে থাকায় সবাই এখানে কিনতে আসে। আর এখানে প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি। দেখার কেউ নেই। তিনি বলেন, ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরা মুসলিমে পণ্য কিনে, তারা পণ্যের দাম দর জিজ্ঞেস করেন না।
তাই এই সুযোগে তারা গলা কাটছে আমাদের মত সাধারণ ভোক্তাদের। আর পণ্য কিনলে সাদা কাগজ ছাড়া কোন রশিদ দেয় না। তাই ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযোগও করা যায় না।
মুসলিমের এই অতিরিক্ত দাম নিয়ে ভোক্তাজনসাধারণ অনেক বার অভিযোগ করেছেন। এমনকি গত বছর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও এ অভিযোগ উঠে। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এতে করে ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে।
পণ্যের অতিরিক্ত দাম নেয়া বিষয়ে কথা হলে মুসলিম সুইটমিটের স্বত্ত্বাধিকারী বাবুল মিয়া বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় আমাদের পণ্যগুলোর গুণগত মান ভাল, তাই দামও বেশি। এছাড়া সব মালামালের দামও বাড়তি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, বাজার দরের তুলনায় অতিরিক্ত দাম নেয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টা দেখতেছি।