বৃহস্পতিবার ● ২৪ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে অবৈধ অস্ত্র, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লাখো মানুষের বিক্ষোভ
রাঙামাটিতে অবৈধ অস্ত্র, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লাখো মানুষের বিক্ষোভ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৪ মার্চ ২০১৬: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.০৭মিঃ) পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাদাঁবাজি বন্ধে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চিরুণী অভিযান পরিচালনার আহবান জানিয়েছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার৷ ২৪ মার্চ বৃহষ্পতিবার রঙামাটিতে সচেতন পার্বত্য জনগন আয়োজিত অবৈধ অস্ত্রধারী, অপহরণ, গুম, খুন ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাঙামাটির নিউ মার্কেট চত্তরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এ আহবান জানান৷
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিং কিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে দীপংকর তালুকদার বলেন, যতদিন পর্যন্ত পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাদাঁবাজি বন্ধ না হবে ততদিন পাহাড়ে শান্তি আসবে না৷
পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে পার্বত্যবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি৷
রাঙামাটি শহরে বৃহস্পতিবার সকালে দোকান পাট ও যানবাহন বন্ধ রেখে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ গ্রহন করেন পাহাড়ি বাঙ্গালীসহ লাখো সাধারন মানুষ৷ জনতার ঢল পৌরসভা চত্বর থেকে শুরম্ন করে রাঙামাটির নিউ মার্কেট চত্বর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল৷
রাঙামাটি জেলার দশটি উপজেলা থেকে আসা পাহাড়ি বাঙ্গালী নারী পুরুষ হাজার হাজার সাধারন মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন৷
বিক্ষোভ সমাবেশে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু,জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিং কিউ রোয়াজাসহ আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে বক্তব্য দেন৷
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন ইউপি নিবার্চনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সাধারণ প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নিতে দিচ্ছে না৷ সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে পাহাড়ে ভোটারদের জিম্মি করে রেখেছে৷
সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন সারা জেলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান থাকলেও পাহাড়ে এর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী৷ চিনু আরো বলেন আমি নিজে সংসদে অনেক বার বলার পরেও কোন প্রকার অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা৷ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে জন অসন্তোষ আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেন চিনু৷
সমাবেশে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি৷ তবে রাঙামাটিতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাবেশ চলাকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়টি আইন শৃংখলা বাহিনী দ্বারা নিচ্ছিদ্র্র নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ছিল৷ কার্যালয়ে কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর যাতায়াত লক্ষ্য করা যায়নি৷ কার্যালয়ে সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল৷
উল্লেখ্য, অবৈধ অস্ত্রধারী, অপহরণ, গুম, খুন ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে লাখাে জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ রাঙামাটিতে এটাই প্রথম।