বৃহস্পতিবার ● ৭ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » সাবেক সেনা সদস্যসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
সাবেক সেনা সদস্যসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাশকাঠি গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মনির হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একে একে ৫ টি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তোভোগী সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মনির হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় আশ্রাব আলীর কাছ থেকে ঘর ও জমিসহ ৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৩৫ শতাংশ জমি দেলেয়ার হোসেন দুলালের কাছ থেকে ক্রয় করে ২ কক্ষের পাকা ভবন নির্মান করে ২০ বছর ধরে বসবাস করে ভোগ দখল আছেন। দাতা গং আসমত আলীর ছেলে আশ্রাব আলী, কাওসার ও বেলায়েত এবং তার ৫ মেয়েদের মধ্যে জমির বন্টন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় বেলায়েত তার জমিজমা বুঝিয়া পাওয়ার জন্য স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকে বসলে আশ্রাব তা বর্জন করে। যেতেহু মনির হোসেন আশ্রাবের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে এ কারনে জমি বন্টনের জন্য তার ও তার স্ত্রীর নামে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বেলায়েত হোসেন। পরবর্তীতে বেলায়েত হোসেনের ভাই কাওসার হোসেন বাদি হয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন। ওই মামলা চলমান তবে ওই মামলায় মনির হোসেনকে বাদি ও বিবাদি করা হয়নি। এদিকে চাকরির সুবাদে মনির দেশের বাহিরে থাকার সুযোগে আশ্রাবের ভগ্নিপতি মালেক বাদি হয়ে মনির হোসেনের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমের নামে একটি ৭ ধারা মামলা করেন এবং আশ্রাব আলী ও তার ভাই বেলায়েত হোসেন ২টি নন জিআর মামলা করেন। চাকুরি থেকে অবসরে এসে তার ৫ শতাংশ জমিতে ৪ কক্ষের ভবন নির্মান কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষ বেলায়েত হোসেন বাদি হয়ে মনির হোসেনের নামে গত ২৬ মার্চ ভবন নির্মান কাজ বন্ধের জন্য নিষেধাজ্ঞা মামলা করলেও তদন্তে সত্যতা না পাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২৮ মার্চ খারিজ করে দেয়। ওই মামলা খারিজ হওয়ার পরে আবারও প্রতিপক্ষ বেলায়েত হোসেন নির্মান কাজ বন্ধের জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মনির হোসেনর স্ত্রীর নামে ২৮ মার্চ দেওয়ানি আদালতে মামলা করে। কিন্তু ওই জমি মনির হোসেনের স্ত্রীর নামে হলেও মনির হোসেনের নামের জমির ঘরের কাজ পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দেয়। সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মনির হোসেন আরও অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে একে একে ৫ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে এবং ভবন নির্মান কাজ বন্ধ করে রাখায় নির্মান সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে এবং চোর-ডাকাত ও বর্ষার আতঙ্কে পরিবার নিয়ে রাত কাটাচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন জানান, পারিবারিক বিরোধ ও মনের অমিলে দ্বন্দ্ব চলছে। তার পৈত্রিক সম্পত্তি ওয়রিশরা তাকে বিভিন্ন স্থান থেকে টুকরো টুকরো দিচ্ছে চক্রান্ত করছে। মনির হোসেন পেছনে তাদের ইন্দন দিচ্ছে এবং জমি বেশি দখলে রেখেছে। তার জমি বুঝে পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করা হয়েছে। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ নিয়ে কয়েক বার স্থানীয়ভাবে শালিশ বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। বর্তমানে আদালতে মামলার কারনে জমির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কাজ বন্ধ করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে স্থিতিঅবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।