শুক্রবার ● ৮ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » নতুন করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : ইউপিডিএফ
নতুন করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : ইউপিডিএফ
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মুল) এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে পাহাড়িদের মধ্যে নতুন করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তিনি এই ষড়যন্ত্র বানচাল করার জন্য সকল প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি তথা সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ৭ এপ্রিল এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা আরও বলেন, জনগণের এক অংশকে অন্য অংশের বিরুদ্ধে, এক পার্টিকে অন্য পার্টির বিরুদ্ধে, এক জাতিকে অন্য জাতির বিরুদ্ধে এবং এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য ও বিবাদ সৃষ্টি ও জিইয়ে রাখা এবং এভাবে তাদেরকে দাবিয়ে রাখা প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠীর একটি অতি পুরাতন অপকৌশল।
‘তবে সকল সময় শাসকদের এই ষড়যন্ত্র সফল হয় না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যখনই জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তখনই প্রতিক্রিয়াশীলদের গণবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চুরমার হয়েছে।
ইউপিডিএফ নেতা বলেন, কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীটির ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এমন সময় শুরু হয়েছে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে দীঘিনালায় ইউপিডিএফ নেতা নবায়ন চাকমা সৌরভের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশে ও বিদেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। ‘এই ঝড় সামাল দিতেই কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহলটি নতুন করে এই নিন্দনীয় কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অংগ্য মারমা বলেন, শাসকগোষ্ঠীর ‘ভাগ করে শাসন করা’ ও ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধিয়ে ব্যস্ত রাখা এবং আন্দোলনের শক্তি নিঃশেষিত করে দেওয়ার ঘৃণ্য কূটকৌশলের বিপরীতে নয়া যুগের পার্টি ইউপিডিএফের ঘোষিত নীতি হলো ঐক্য—সমঝোতা এবং শ্লোগান হলো “মুক্তিকামী জনতা এক হও, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোল!” তিনি এই আন্দোলনমুখী ঐক্যে সামিল হওয়ার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।