শুক্রবার ● ৮ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » প্রধান শিক্ষিকার টিকটক ভিডিও নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়
প্রধান শিক্ষিকার টিকটক ভিডিও নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দারের রোমান্টিক কয়েকটি টিকটক ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই টিকটক ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রোমান্টিক বাংলা গানের তালে নানান অঙ্গভঙ্গিতে নাচ করছেন তিনি। তার এ গানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও অনেকেই দিচ্ছেন ভিন্নমত। এদিকে নারী প্রধান শিক্ষকের এমন কাণ্ডে হতবাক কুষ্টিয়া জেলার সচেতন মহলও।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়টির এক শিক্ষক বলেন, টিকটক করা একটি ভিডিও আমিও দেখেছি। স্কুলের শিক্ষার্থীই আমাকে ভিডিওটি দেখিয়েছেন। দেখে একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। তবে আমি ম্যাডামকে বলেছিলাম ভিডিওটি ভালো লাগেনি। উনি কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সামনে লজ্জায় কোনো কথাই বলতে পারছিনা। অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মতো অনেকেই তো টিকটক করে। তাদের টিকটক তো সামনে আসে না। তাহলে আমারটি কেনো? এমনটি বলেই কলটি কেটে দেন তিনি। উপজেলার তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, ভুলক্রমেই ম্যাডামের ফেসবুক আইডিতে উনি টিকটক ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। বিষয়টি জানার পর আমি কথা বলেছি। তবে এ ব্যাপারে তিনি অনুতপ্ত। তার ভুল নিজেই স্বীকার করেছেন। এরপর এমনটি আর হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত বিষয়টি কেউ জানাননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সচেতন নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন,শিক্ষকতা একটি আদর্শের পেশা। শিক্ষার্থী ও সমাজের মানুষ তাদের অনুসরণ করেন। মাধ্যমিক পযার্য়ের একজন প্রধান শিক্ষকের এমন টিকটক ভিডি এটি সমাজের অবক্ষয় ছাড়া আর কিছুই না।