শনিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে পৃথক পৃথক স্থানে ছিনতাই আটক-৪
ঘোড়াঘাটে পৃথক পৃথক স্থানে ছিনতাই আটক-৪
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পৃথক দুটি স্থানে ছিনতায়ের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি দুটি উপজেলার রামপুর টুবঘুরিয়া টু সুরা মসজিদ সড়কে ও অপরটি ঘটেছে রাণীগঞ্জ টু ডুগডুগীহাট সড়কে ঘটেছে। এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ্দ করেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে রিক এনজিও’র এক কর্মী তার কর্মস্থল রাণীগঞ্জ বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রামপুর টু টুবঘুরিয়া ও সুরা মসজিদের মাঝখানে একটি ডিপ টিউবওয়েলের পাশে সড়কে কতিপয় ছিনতাইকারী তার মোটরসাইকেলটি আটক দেয়। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার পকেটে থাকা নগদ টাকা বের করে নেয় এবং মারপিট করতে থাকে। এনজিও কর্মী সেখান থেকে সুকৌশলে মোটর সাইকেল টান দিয়ে সামনে একটি মোড়ে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। তার আর্তচিৎকারে কাশিয়াতলা গ্রামের লোকজন বের হয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। এ খবরটি কোন এক ব্যক্তি ঘোড়াঘাট থানায় অবগত করলে টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাউকে না পেয়ে ফিরে যায়।
অপরদিকে একই দিন দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে রাণীগঞ্জ টু ডুগডুগীহাট সড়কের মাঝখানে একটি ব্রিজের নিকট কাজী ফার্মের একটি পিকআপ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ছিনতাইকারীরা গাড়ীতে থাকা লোকজনের নিকট থেকে নগদ টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের বেদম মারপিট করে।
রিক নামের ওই এনজিও কর্মী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চানপাড়া গ্রাম থেকে তার ফেলে যাওয়া হেলমেটটি খোঁজার জন্য শুক্রবার সকাল নয় টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে। খোঁজাখুজি এক পর্যায়ে হেলমেটটি একটি ডিপ টিউবওয়েলের পাশে পায়। এ সময় সন্দেহমূলক ভাবে ডিপ টিউবওয়েলের ঘরে উঁকি মেরে দেখে তিনজন লোক ঘুমাচ্ছে। তখন তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা মনে পরতেই ওই দুই গ্রামের লোকজনকে ডেকে ডিপ টিউবওয়েলের নিকট আসলে দেখে দরজায় তালা লাগানো। এমন সময় সেখানে লোকজন ডিপ টিউবওয়েলের লাইনম্যান রামপুর টুবঘুরিয়া গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে খন্দকার মোঃ সোহানুর (৩৯) কে দেখতে পেয়ে দরজা খোলার জন্য গ্রামবাসী চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু সে বলে তার খালাতো ভাইয়েরা এখানে ঘুমাচ্ছে, দরজা খোলা যাবে না। এ সময় উপস্থিত লোকজন থানাতে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘুমন্ত ওই তিনজন সহ লাইনম্যানকে আটক করে নিয়ে যায়।
আটকৃতরা হলো, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বিন্নিপাড়ার গ্রামের ইউসুফ আলী মন্ডলের পুত্র মিলন আলী মন্ডল ওরফে আঞ্জুমান (৪২) ও একই এলাকার মিজানুর রহমান মিজান (৩৪), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর গ্রামের হোসেন সরকারের পুত্র সানোয়ার সরকার (৪০) সহ ডিপ টিউবওয়েলের লাইনম্যান খন্দকার সোহানুর রহমান (৩৯)।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার কওে জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘোড়াঘাট থানা ও হাকিমপুর সার্কেল জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত
ঘোড়াঘাট :: দিনাজপুর জেলার ১৩ টি থানার মধ্যে ঘোড়াঘাট শ্রেষ্ঠ থানা ও হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলকে শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর লাইন্স হলরুমে মাসিক কল্যাণসভা ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতে পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির এর নিকট শ্রেষ্ঠ থানা ও হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলামের নিকট শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে তাদের কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মার্চ-২০২২ মাসের সার্বিক কর্ম মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ থানা ও সার্কেলকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শচীন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. মমিনুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আসলাম উদ্দিন ও জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ওসি মো. আবু হাসান কবির বলেন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন স্যারের নির্দেশে একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ সফলতা শুধু আমার একার নয় ঘোড়াঘাট থানার সকল পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় এ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।