শনিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ১৭ দিন নিখোঁজ থাকা তিন যুবক ফিরে আসলো বাড়িতে
১৭ দিন নিখোঁজ থাকা তিন যুবক ফিরে আসলো বাড়িতে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: হঠাৎ করেই ১৭ দিন পর নিখোঁজ ৩ যুবক বাড়ি ফিরেছেন। এদের প্রত্যেকের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার বড়বামনদহ গ্রামে। পরিবার জানান, ২০ মার্চ এশার নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হয় ওই তিন যুবক। তার পর থেকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ করেন। ওই ৩ যুবক পারভেজ হোসেন (২২) রাব্বি (২০) ও রিয়াজ হোসেন (২৮) বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তারা নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন। নিখোঁজ থাকা রাব্বি জানান, বন্ধু রিয়াজ আমাকে বেশ কয়েক দিন ধরে তাবলীগ জামাতে যাওয়া কথা বলেন। হঠাৎ করেই ২০ শে মার্চ সন্ধার পারে বলে এখোনি যেতে হবে। তবে ফোন রেখে যেতে বলেন। আর খরচের টাকা নিতে বলেন তখন আমি বাড়ি থেকে ২১ হাজার টাকা নিয়ে ফোন রেখে আমরা ওই রাতে কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন যোগে কমলাপুর রেলস্টেশনে যায় ট্রেন থেকে নামার পর একজন আমাদের নিয়ে যান হাজীক্যাম্পের পাশের একটা রুমে। বেশ কয়েকদিন ওই রুমের মধ্যেই থাকি নামাজ কালাম পড়ি। এরপর আমাদের আর ভাল লাগছিল না ওখানে। মনে হচ্ছিলো তারা আমাদের দিয়ে দেশ বিরোধী কোনো কর্মকা- করাবে। ওখান থেকে বের হয়ে কক্সবাজার চলে যায়। আর বাড়ির দিকে চাপাচাপি চলছিল পুলিশের। কাছে টাকা না থাকায় বাড়িতে ফিরে আসি। রিয়াজ ও পারভেজ কে বাড়িতে না পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় পারভেজের পিতা মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, রিয়াজ আমার ছেলেসহ দুই জনকে নিয়ে যান তাবলিক করতে। আজ ভোরে বাড়িতে ফিরে আসেন রিয়াজ এসে শুশুর বাড়িতে গিয়েছে ফিরে আসলে তাকে নিয়ে থানায় যাবো। তবে যাবার প্রকৃত কারন এখনও কেউ বলেনি। এ ব্যাপারে মডেল থানার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সঞ্চিত কুমার বিশ্বাস বলেন, নিখোঁজ হওয়া ৩ যুবক ফিরে এসেছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে ওই তিন যুবকদের তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লাখ লাখ টাকা লোপাট
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ৪ নং বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (নজু) র বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দায়ের করেছে ইউপি সদস্যরা। ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ মোট ৮ জন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান নজুর বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের কাছে গত বুধবার (৬ এপ্রিল) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, করোনা কালীন সময়ে ৮০০ কেজি চাল, টি,আর বাবদ তিন লাখ টাকা, এ,ডি,বি, প্রকল্পের ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও সরকার নির্ধারিত ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে ইউপি সদস্যদের ডাকেননি। এ সব টাকা চ্যায়ারম্যান নজু লোপাট করেছে। অভিযোগে আরো বলা হয় হতদরিদ্রের মাঝে চাল বিতরণ করার জন্য ইউপি মেম্বরদের স্বাক্ষর জাল করে ইউনিয়ন সচিব বিল্লাল হোসেনে এই জালিয়াতি করেন। মেম্বররা চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে,, তিনি তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দিয়ে বলেন,, আমি কারো কাছে কোন কৈফিয়ত দিতে পারবো না। চেয়ারম্যান, নজরুল ইসলাম নজু বিষয়টি নিয়ে জানান, আমি শপথ নেওয়ার পর ইউনিয়নের প্রতিটা সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত রেজুলেশন করে সমস্ত কাজ ভাগ করে দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ও ভিত্তিহীন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি কোন দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত নয়। এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেলোয়ার হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। পরবর্তী মিটিংয়ে উপস্থাপন ও অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।