বৃহস্পতিবার ● ২৪ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » কারাগারে নিজামীর সঙ্গে দেখা করলেন স্ত্রী-ছেলে ও পুত্রবধূরা
কারাগারে নিজামীর সঙ্গে দেখা করলেন স্ত্রী-ছেলে ও পুত্রবধূরা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন পুত্রবধূ দেখা করেছেন৷
২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা কারাগারের একটি কক্ষে প্রায় আধঘন্টা অবস্থান করেন৷
এরা হলেন নিজামীর স্ত্রী সামছুন্নাহার, দুই ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান ও ডা. নাঈমুর রহমান এবং তিন পুত্রবধূ সুর্বণা, রাইয়ান ও ফালুয়া৷
কাশিমপুর কারাগার-২-এর জেলার মো. নাসির আহমেদ আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, দুপুর ১২টার দিকে নিজামীর এই স্বজনরা তার সঙ্গে দেখা করেন৷
ওই সময় তারা পারিবারিক এবং নিজামীর মামলার রিভিউর বিষয়ে কথা বলেছেন৷
বেলা পৌনে ১টার দিকে তারা কারা চত্বর ত্যাগ করেন বলে জানান জেলার নাসির আহমেদ৷
এর আগে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে বহাল রাখার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা নিয়ে ১৬ মার্চ বুধবার দুপুরে কারাগারে তার আইনজীবী ছেলে নাজীব মোমেনসহ তিন আইনজীবী কথা বলেন৷
ওইদিন নাজিব মোমেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুই আইনজীবী মো. মশিউল আলম ও মো. মতিউর রহমান আকন্দ ৷
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাবনায় হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷ চলতি ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আপিল আংশিক মঞ্জুর করে সেই ফাঁসির রায়ই বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত৷
সর্বোচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার প্রায় আড়াই মাস পর গত ১৫ মার্চ মঙ্গলবার বিচারকরা সেই রায়ে সই করেন৷ এরপর সন্ধ্যায় তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়৷
ওইদিন রাত ৯টায় বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারক আসামির মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন৷
এরপর রাত সাড়ে ৯টার পর লাল সালুতে মুড়ে এই মৃত্যু পরোয়ানা ট্রাইব্যুনাল থেকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে৷ পরদিনে সকালে সেখান থেকে পরোয়ানা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে যাওয়ার পর তা নিজামীকে পড়ে শোনানো হয়৷