শুক্রবার ● ১৫ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শততম গোপাল চাঁদ মেলায় হাজারো ভক্তের ঢল
শততম গোপাল চাঁদ মেলায় হাজারো ভক্তের ঢল
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে অনুষ্ঠিত শততম গোপাল চাঁদ বারুণী স্নানোৎসব ও মতুয়া মেলা হাজারো ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। মোড়েলগঞ্জের জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামের প্রায়াত গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের ৩দিন ব্যাপী আশ্রমে জমে ওঠা মেলার বৃহস্পতিবার পূণ্য স্নানোৎসব। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত মতুয়া মতাদর্শের ভক্তরা স্নানোৎসব ও মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪, আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন। বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক (পিপিএম)উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ, নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন মৃধা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মেলাস্থল পরিদর্শন করেন। সভাপতিত্ব করেন গোপাল চাঁদ আশ্রমের গদিনশীন সেবাইত মতুয়া মহাসংয়ের সহাসচিব সাগর সাধু ঠাকুর।
বর্তমান গদিনশিন মতুয়াচার্য সাগর সাধু ঠাকুর জানান, গোপাল সাধুর এ ধামে এ পর্যন্ত চার পুরুষ গত হয়েছেন। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম স্মরণে বাংলা ১৩২৮ সাল থেকে এখানে মতুয়া ভক্তদের সমাগম ঘটছে যা এখন ‘গোপাল সাধুর’ মেলা নামে পরিচিত।
মতুয়া ভক্তরা প্রতি বছর মধুকৃষ্ণা পূর্ণিমার ত্রয়োদশী তিথিতে ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মোৎসব পালন করেন। যা এখন বারুণী স্নান ও মহামেলা নামে পরিচিত। ওড়াকান্দি মেলার ১৫দিন পরে ‘ঠাকুরের দোয়ালীয়া বাড়ি’ গোপাল চাঁদের লীলা নিকেতন মোড়েলগঞ্জের লক্ষীখালীতে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বারুণী স্নান ও মেলা।
প্রায়াত গোপাল সাধুর বসতবাড়িসহ ২৪ বিঘার বাগানবাড়িতে বসবে এ মেলা। দিঘীতে স্নান করবে ভক্তরা। মেলা ও স্নান নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশ, আনছার-ভিডিপি ও স্থানীয় ৩শ’ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে রং মিস্ত্রীর বসতবাড়ি ভাংচুর করেছে প্রভাবশালী মহল
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে রং মিস্ত্রী রফিক গাজীর বসতঘর গুড়িয়ে দিয়েছে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে ৩। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২ এপ্রিল গাজিরঘাট ১নং ওয়ার্ডে রং মিস্ত্রী রফিক গাজী ২০২০ সালে সালেক শেখ ও স্ত্রী হেলেনা বেগমের কাছ থেকে ১২১৩ ও ১২৮৬ দুটি দাগে ৩৩ শতক জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছে রফিক গাজী। গত ২ এপ্রিল বসত বাড়িতে গিয়ে শাহাজাহান শেখ ও তার লোকজন দখলের উদ্যোশে বসতবাড়ি ভাংচুর করে। এতে বাঁধা দিলে মুনসুর গাজীর ছেলে রফিক গাজী (৩২) ও স্ত্রী অন্তরা বেগম (২২), বোন কহিনুর বেগম (৩৫)। গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ২০২১ সালে সালেক শেখের কাছ থেকে শাহাজাহান শেখ ক্রয় করে রফিক গাজীর দাগ উল্লেখ করে জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয় সালেক শেখের কাছ থেকে।
এ সর্ম্পকে দিনমজুর রফিক গাজী বলেন, সালেক শেখ ও স্ত্রী হেলেনা বেগমের কাছ থেকে দুটি দাগে মোট জমি ৩৬ শত জমি রয়েছে। আমার কাছে বিক্রি করেছে ৩৩ শতক। বাকি ৩ শতক জমি মন্নান শেখের দখলে রয়েছে। জানাগেছে, দুটি দাগে সত্ত¡ পাওয়া যায়নি। প্রভাবশালী মহলটি জমি দখলের জন্য হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় দিনমজুরের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার নগদ টাকা সহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতিস্বাধন করে। আমি প্রশাসনের প্রতি তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি করছি।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অননুমোদিত ইট ভাটা ধ্বংস, ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে শুক্রবার ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে অননুমোদিত ইট ভাটা ধ্বংস সহ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাবগাছিয়া গ্রামের মাসুদ শেখের অননুমোদিত এই লোকাল ভাটার উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন্ । এ গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে মাসুদ শেখ এখানে প্রভাব খাটিয়ে আবাসিক এলাকায় খোলা অবস্থায় কাঠ পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত করছিলেন। অননুমোদিত এই লোকাল ইট ভাটার সরকার প্রদত্ত কাগজ বা অনুমতিপত্র নেই। ফলে এলাকার মানুষসহ এলাকার পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। আর এ অপরাধে মাসুদ শেখকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন,২০১৩ এর আওতায় ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড সহ প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট পানি দিয়ে বিনষ্টিকরণ করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান বলেন, দৈবজ্ঞহাটি ফাঁড়ি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এ ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করে। আর জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।