বৃহস্পতিবার ● ২৪ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রার্থী বাছাই করতে ইলিয়াসপত্নী লুনা বিশ্বনাথে
প্রার্থী বাছাই করতে ইলিয়াসপত্নী লুনা বিশ্বনাথে
মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: এম. ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজের’ কয়েক মাস পর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়লেও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন বিএনপি কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলে জানাযায়৷ ইতিমধ্যে বিএনপির দুটি গ্রুপ কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করে আসছে৷ এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে৷ আর এসব প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন৷ প্রার্থিরা দলীয় নেতাকর্মীর সমর্থন পেতে তৃণমূল নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন৷ কেউ কেউ নেতাকর্মীর বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন৷ ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি উপজেলায় নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়৷ তবে এখনও বিশ্বনাথে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক হয়নি৷ ধারনা করা হচ্ছে মে মাসে বিশ্বনাথে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ গত বুধবার বিকেলে তাহসিনা রুশদি লুনা সিলেটে ইলিয়াস আলীর উপশরস্থ বাসায় আসেন৷ রাতেই বিশ্বনাথ উপজেলা ইউপি নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন৷ বৈঠকে আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রার্থী বাছাই কমিটি গঠন করা হয়৷ কমিটির অন্যরা হলেন-উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাহিদ আলী৷
এদিকে, ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদি লুনা তার স্বামীর গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ রামধানা গ্রামে আসেন৷ এমন খবর পেয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ ও ওসমানীনরের বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা ভীড় করেন৷
ইলিয়াসপত্নীর আহবানে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইলিয়াস আলীর বাড়িতে উপজেলা বিএনপির প্রতিটি ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালালউদ্দিন চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া চেয়ারম্যানের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনা৷ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাহিদ আলী, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম কছির, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল হাই, মুক্তিযোদ্ধাদলের আহবায়ক সৈয়দ আবদুর রাজ্জাক৷ এসময় উপজেলার আট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন৷
জানাগেছে, এবারের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ৷ ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রাথীরা নিজ নিজ সমর্থককারিদের নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ভিতরে ভিতরে বৈঠক করে আসছেন৷ তবে কে পাবেন দলীয় সমর্থন এটা কেবল সময়ের ব্যাপার৷ তবে এবারের ইউপি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা আশাবাদি তারা দলীয় সমর্থন পাবেন৷
দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, দল থেকে একক প্রার্থী দিতে পারলে নির্বাচন হবে জমজমাট৷ তবে যোগ্য প্রাথর্ী আসলে গতবারের মতো এবারের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর জয়লাভের সম্ভবনা রয়েছে৷ দলীয় কোন্দল নিরশন না হলে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীর ভরাডুবি হওয়ার আশংকা রয়েছে৷
প্রার্থী বাছাই কমিটির সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা কাজ করবে,তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মী সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে খুব শীঘ্রই দলীয় প্রার্থীর ঘোষনা করা হবে৷