বুধবার ● ২০ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » রমরমা ভাবে চলছে নকল বিড়ি তৈরি
রমরমা ভাবে চলছে নকল বিড়ি তৈরি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার দেবরাজপুর গ্রামে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রমরমা ভাবে নকল বিড়ি তৈরি করছে। যে কারণে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নকল বিড়ির রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যাবসায়ী। উপজেলার দেবরাজপুর গ্রামের বেশ কয়েক জন অসাধু ব্যক্তি ১৯৬ নং আজিজ বিড়িসহ নানা ধরনের বিড়ি নকল ভাবে তৈরী করে তাতে নকল ব্যান্ডল লাগিয়ে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আশপাশের জেলার বাজারেও বিক্রি করছে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধোরে এ গ্রামে নকল বিড়ি তৈরী হয়ে আসছে। কিন্তু এতে প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নেই। সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেবরাজপুর গ্রামের উত্তর দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়ায় অন্তত ১৫ টি বাড়িতে নকল বিড়ি তৈরীর কাজ চলছে। গ্রামের নিন্মআয়ের মানুষেরা বিশেষ করে মহিলারা এ বিড়ি তৈরি করছেন। তারা বিভিন্ন বিড়ির পাতা, লেবেল, ব্যান্ডল ও তামাক পাতা নকল করে বাড়িতে তৈরি করে তা মহাজনের নিকট পৌঁছে দিচ্ছেন। নকল বিড়ির ১০০০ স্টিক তৈরি করলে তারা মজুরি হিসেবে ৩০ টাকা পান।বিড়ি তৈরির কয়েকটি ধাপ রয়েছে। যেগুলো আলাদা আলাদা ভাবে তারা করে থাকেন। এসব বিড়ি তৈরি করে রাতের আধাঁরে বিভিন্ন হাট-বাজারে এজেন্ট ও বড় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকেন ব্যাবসায়ীরা। নকল ব্যান্ডেল লেবেল লাগিয়ে নকল বিড়ি তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে পূর্বে এই গ্রামের একাধিক বাড়িতে বেশ কয়েক বার অভিযান চালিয়ে বিড়ি তৈরির মালামালও জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবুও তারা আইনকে তোয়াক্কা না করে নকল বিড়ির ব্যবসা পুরা দমে চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। কালিগঞ্জ দেবরাজপুর এর সবথেকে বড় ব্যবসায়ী হলেন শাহজাহান আলী। তিনি শুধু বিড়ি নয় নকল গুলও তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করেন। বিড়ি তৈরির মেশিন ও সরঞ্জাম রয়েছে তার বাড়িতে। গ্রামের বিভিন্ন পাড়ার মহিলা ও পুরুষ মিলে তার বিড়ি তৈরির আউটসোর্স ওয়ারকার হিসেবে কাজ করে।কালীগঞ্জ বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এর গাড়িতে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ নকল বিড়ি পাঠানো হয়। রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, গ্রামটিতে নকল বিড়ি তৈরি হয়। যারা এ কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন তাদেরকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। তবুও তারা নিষেধ না মেনে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই,অবৈধ নকল এই ব্যবসার সাথে জড়িতদের অতিসত্বর আইনের আওতায় আনা হোক। কালীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম জানান, দেবরাজপুর গ্রামের বিড়ি তৈরির খবর আমাদের জানা নাই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিব, সেখানে যদি আইন বিরোধী কাজ হয়ে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
ডাবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামী সোহাগ গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আলোচিত ডাবল মার্ডারের প্রধান অভিযুক্ত সোহাগ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। এমন তথ্য নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) জগনাথ চন্দ্র জানান, সংঘর্ষে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামী সলেমানপুর এলাকার দাউদ হোসেনের ছেলে আহত সোহাগ হোসেন চিকিৎসাশেষে ঢাকায় আত্মগোপনে আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে থানা পুলিশের একটি টিম রাজধানী ঢাকার উদ্দ্যেশে রওয়া হয়। সেখান অভিযান চালিয়ে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সোহাগকে গ্রেফতার করে প্রথমে নেওয়া হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্য হাসপাতালের প্রিজম সেলে নেওয়া হয়। বর্তমানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছে। হত্যাকান্ডে জড়িত বাকী আসামীদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশের এই কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল বাংলা বর্ষবরণের দিন সকালে স্থানীয় কোটচাঁদপুরের চৌগাছা বাসস্ট্যান্ডে পৌরসভার বিভিন্ন যানবাহন থেকে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষ প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুরতর আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আখ সেন্টার এলাকার জীবন হোসেন নামে এক যুবলীগ কর্মী মারা যায়। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর নেওয়ার পথে আক্তার হোসেন নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, এঘটনার এক দিন পর শুক্রবার রাতে নিহত আক্তার হোসেনের পিতা বাবু তালেব বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত হলেন, সংঘর্ষে আহত সোহাগ হোসেন। সংঘর্ষের ঘটনায় সোহাগের পিতা দাউদ হোসেন বাদী হয়ে ৮/৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছেন। ঘটনার দিন সলেমানপুর এলাকা থেকে খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে ইমন হোসেন ডন ও আব্বাস আলী নামে দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হওয়ায় তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।