রবিবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » দেড় যুগ পর নতুন সড়ক পেয়ে খুশি ২০ গ্রামের মানুষ
দেড় যুগ পর নতুন সড়ক পেয়ে খুশি ২০ গ্রামের মানুষ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা থেকে দুর্গাপুর সড়কের ভোগান্তী ছিল দীর্ঘ দিনের। ভাঙা সড়ক আর হাটু সমান কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হতো প্রায় ২০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে চলা এই ভোগান্তীর অবসান হয়েছে। সরকারের এলজিইডি বিভাগ ওই এলাকার রাস্তাটি পুনঃসংস্কার করায় স্বস্তি এসেছে সড়কে চলাচলকারীদের মাঝে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ এলজিইডি বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘোড়ামারা আর এইচডি পাঁচ মাইল থেকে শৈলকুপা উপজেলার পীড়াগাতি পর্যন্ত সড়কের পুনঃসংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করেন। ৩৬’শ মিটার এই কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইমন এন্টারপ্রাইজ ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে কাজ শুরু করে। চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কাজ শেষ হয়। ভাঙা আর খানাখন্দে ভরা রাস্তায় এখন পাকা সড়ক পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ওই সড়কে চলাচলকারীরা। পার্শবর্তী বাকড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটির জন্য কষ্ট করেছি। বৃষ্টির সময় তো এই রাস্তায় চলাচলই করা যেত না। এলজিইডি বিভাগ কাজটি করে দিয়েছে বলে তাদের ধন্যবাদ জানায়। সড়কের সংস্কার কাজও সুন্দর ভাবে হয়েছে। কাজের মানও ভালো। ইজিবাইক চালক সুলাইমান হোসেন বলেন, ঝিনাইদহ যেতে হলে আগে আমাদের ৮/১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো। এই রাস্তাটি হওয়ার কারনে আমাদের অনেক সময় কম লাগে। আর রাস্তাটির কাজের মান ভালো হওয়ার কারণে আমরা খুশি। দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী খুশি খাতুন বলেন, আগে আমাদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হতো। এই রাস্তা দিয়ে তো ভ্যান, ইজিবাইক কিছু চলত না। অনেক কস্ট করে স্কুলে যেতে হতো। এখন পাকা হওয়ার কারণে সহজেই ইজিবাইকে করে স্কুলে যেতে পারছি। ঝিনাইদহ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। শৈলকুপা অংশে কিছুটা বাকি আছে সেটিও করা হবে। কাজ চলাকালীন সময়ে আমাদের কর্মকর্তারা তদারকি করেছে। কাজের মানও ভালো হয়েছে। সড়কটি সংস্কার করার কারণে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পুরণ হয়েছে।
পুলিশ পরিচয়ে বিধবা নারী থেকে টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পুলিশ পরিচয়ে তানিয়া খাতুন (৩০) নামে এক বিধবা নারীর নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক নিজেকে কোটচাঁদপুর মডেল থানার এসআই শফিক পরিচয় দিয়ে বিধবা ওই নারীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানা যায়। উপজেলার বলুহর ইউনিয়নের মরুটিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী ভুক্তভোগী তানিয়া খাতুন জানায়, গত রবিবার (১৭এপ্রিল) থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ করি। একদিন পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন (মেম্বর)আমার বাড়িতে এসে দারোগার কথা বলে মোবাইল নাম্বার দিতে বলে। আমি মেম্বারের কাছে মোবাইল নাম্বার দেওয়ার কিছুক্ষণ পর (০১৩০৭-৭২৫৮১০) নাম্বার থেকে একটি কল আসে। ফোনে কথা বলা লোকটি নিজেকে মডেল থানার দারোগা পরিচয় দেয়। থানায় আমার অভিযোগ সর্ম্পকে জানিয়ে বলে, চিন্তা করেন না পুলিশ বাড়িতে গিয়ে অভিযোগের সঠিক বিচার করবে। এসময় তিনি ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই নারী ৫’শ টাকা দিতে রাজি হলে তিনি অভিযোগের কোন কাজ হবে না বলে জানায়। পরে পুলিশের দারোগা পরিচয় দেওয়া প্রতারক ওই নারীর নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা এই নাম্বারে (০১৭৫৯-০২৮৩২১) বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তিনি জানতে পারেন এই নামে কোন পুলিশের দারোগা সংশ্লিষ্ট থানায় নেয়। এতে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। বিধবা নারী বলেন, দরিদ্র পরিবারের মেয়ে আমি। আমার জাহিদ (১২) সামিয়া (৩)বছরের দুটি শিশু সন্তান আছে। স্বামীর মৃত্যুর পর শশুর বাড়িতে ঠাই হয়নি। শশুর বাড়ি গেলে নির্যাতন করে। যার কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। এরই মধ্যে পুলিশ পরিচয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিধবা তানিয়া। এবিষয়ে মেম্বার ফারুক হোসেন বলেন, শফিক নামে এক জন থানার দারোগা পরিচয় দিয়ে তানিয়ার অভিযোগের বিষয়ে আমার কাছে জানতে চায়। পরে সে তানিয়ার মোবাইল নাম্বার চায়। আমি তার বাড়িতে গিয়ে তার ফোন নাম্বার নিয়ে তাকে দিই। এরপর শুনলাম বিধবা তানিয়ার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। এবিষয় তানিয়ার অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এ এস আই কামাল এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওসি স্যার তদন্তের জন্য আমার উপর দায়িত্ব দিয়েছে। ইতি মধ্যে আমি উভয়ের বাড়িতে গিয়েছি। আগামী কাল দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় মিমাংসার কথা আছে। এখন আবার শুনছি থানার দারোগা পরিচয় দিয়ে ওয়াড মেম্বার ফারুকের কাছথেকে ভুক্তভোগীর ফোন নাম্বার নিয়ে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছে। ইতিমধ্যে নাম্বার টা ট্রাক করে গাইবান্ধার এক বিকাশ এজেন্টের নম্বর দিয়ে টাকা টা তুলে নিয়েছে প্রতারক চক্র।
সবজি বাগানে গাঁজার চাষ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিনাকু-ুতে ১১ টি গাঁজার গাছসহ আলমগীর হোসেন (২৫) নামে একজন কারাবরিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড বৈঠাপাড়া গ্রামের নিজ বাসভবন থেকে তাকে আটক করা হয়। গাঁজা চাষী আলমগীর হোসেন বৈঠাপাড়া গ্রামের ছাব্দার হোসেনের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন তার বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি গাছের সাথে গাঁজা গাছ রোপণ করে। পরবর্তীতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১১টি গাঁজা গাছ সহ তাকে আটক করে। অধিক লাভের আশায় গাঁজার বীজ সংগ্রহ করে গোপনে ও কৌশলে সবজি বাগানে গাঁজা চাষাবাদ করে আসছিল বলে থানায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আটক মাদক কারবারি আলমগীর হোসেন। উদ্ধারকৃত ১১টি গাজার গাছের আনুমানিক ওজন সাড়ে চার কেজি বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু হয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।