মঙ্গলবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মহালছড়িতে উচ্ছেদ’র বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
মহালছড়িতে উচ্ছেদ’র বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে প্রশাসনের বিনা নোটিশে স্থাপনা উচ্ছেদ এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
গত রবিবার ২৪ এপ্রিল বিকাল ৩টায় মহালছড়ি ইউএনও জোবাইদা আক্তার উপজেলা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় জনৈক জামাল হোসেন সুবাস নামের এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেন।
এর প্রতিবাদে সোমবার ২৫এপ্রিল সকাল ১১টায় এলাকাবাসীর ব্যানারে মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে আধা ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদের সিয়াম, মহালছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান, স্থানীয় মুরুব্বী জাফর আহমেদ, ভুক্তভোগী জামাল হোসেন সুবাস।
বক্তারা বলেন, মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবাইদা আক্তার মহালছড়িতে যোগদান করার পর থেকে ক্ষমতা অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছে। মহালছড়ি এলাকাবাসী এতদিন মুখ বুজে সহ্য করে এসেছে। জামাল হোসেনের দোকান ভাংচুরের ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের হয়রানী বন্ধ করা ও ইউএনও জোবাইদা আক্তারকে মহালছড়ি থেকে অপসারনের জোর দাবী জানান বক্তারা।
ভুক্তভোগী জামাল হোসেন সুবাস বলেন, ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়ে কোনমতে আমার সংসার চলে। এ দোকানটি গত ২৪ এপ্রিল রোববার বিকাল ৩ টার দিকে বিনা নোটিশে হঠাৎ করে ভেঙে দিয়েছে। এখন আমি সংসার চালাতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
বেলছড়িতে রুহুল আমিন মেম্বারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ
খাগড়াছড়ি :: খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৫নং বেলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ রুহুল আমিন গংদের এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ, দাঙ্গাহাঙ্গামা, ত্রাসের রাজত্ব কায়েমসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (২৪ এপ্রিল) এবিষয়ে মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার খাগড়াছড়ি বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ মূলে জানা যায়, রুহুল আমিন মেম্বার তার সহযোগী মামুন মিয়া, আক্কাসসহ এলাকায় সামপ্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা, এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কায়দায় চাঁদাবাজির মাধ্যমে নিরীহ জনসাধারণের উপর অন্যায় অত্যাচার এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে মনগড়া সালিশী বৈঠকে মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায় এবং বিভিন্ন জনের জায়গা-জমি জবরদখলসহ নানা অনিয়ম ও অসামাজিক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। তার নির্দেশে বিভিন্ন অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড-এলাকার মাদক কারবারি, মাদক সেবন, মাদক বেচাকেনা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে।
এযাবতকাল মেম্বার তার সাঙ্গপাঙ্গ দ্বারা এলাকার সদাশু ত্রিপুরা, রহিমা খাতুন, সাহারা খাতুন, আইয়ুব আলী, কামাল হোসেন, আক্তার হোসেন, মিজানুর রহমান, রুবেল, আবদুল মতিন, মনির হোসেন, ফজল মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আরিফুল, সাহারা খাতুন, শাহ আলম, রাজ্জাক, মজিবুর রহমান, মনির হোসেন, রব্বানী, ইউসুফ আলী মিস্ত্রি, ধনজয় ত্রিপুরা আহসান উল্লাহ(সাবেক মেম্বার) শারীরিক ভাবে নির্যাতন, লাঞ্ছিত ও হয়রানি হয়ে আসছে ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মো. সিরাজ মিয়া বলেন, রুহুল আমিন নব-নির্বাচিত মেম্বার হয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের পাশাপাশি ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় শ্রমিক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, অর্থবানিজ্য ও অনিয়মসহ তার স্ত্রীর গর্ভে কোন শিশু সন্তান না থাকলেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাতৃকালীন ভাতা উত্তোলন করেছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে লোকজন থেকে মোটা অংক হাতিয়ে নিয়ে অদ্যাবধী কালক্ষেপণ করে আসছে।
এ ব্যাপারে বেলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. রুহুল আমিন বলেন, আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তীহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। যারা অভিযোগ এনেছে তারাই এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা প্রমানিত হলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নিবো বলে তিনি জানান।