মঙ্গলবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন গ্রেপ্তার-১
ঘোড়াঘাটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন গ্রেপ্তার-১
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সুমন মিয়া (২৮) নামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবককে মাছ চুরির অভিযোগে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সুমন মিয়া ছয়ঘট্টি-বেলওয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ফারাজ আলী নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আজ সোমবার দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা আবু হাসান কবির।
গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভাতছালা গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবককে মারধরের ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। ঘটনার পর সুমন মিয়াকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার। এরপর রবিবার (২৪এপ্রিল) রাতে সুমনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নামে ঘোড়াঘাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলার ভাতছালা গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে শাহারুল ইসলাম (৪৫) ও ইজ্জত আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর (৩২) এবং বেলওয়া তাতিপাড়া গ্রামের মৃত নুরল মিয়ার ছেলে ফারাজ আলী (৫৫) সুমন মিয়াকে একটি গাছের সাথে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে লাঠি ও হাত দিয়ে পর্যায়ক্রমে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করছে। পরে আরও ২/৩ টি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যায় একজন মহিলাও সুমনকে চড় থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারছে।
সুমনের মা জানান, আমরা খুবই গরিব। দিন এনে দিন খাই। আমার ছোট ছেলে সুমন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং ছোট বেলায় প্যারালাইসিস হওয়ায় বর্তমানে সে বাম পায়ে ঠিক ভাবে শক্তি পায় না। ঘটনার আগের দিন রাতে সে রাস্তার পাশে সরকারি খাড়িতে মাছ ধরার জাল ফেলে আসে। পরদিন শুক্রবার ভোরে সে জমিতে জাল থেকে মাছ আনতে গেলে সেই সময় অভিযুক্তরা জমি থেকে তাদের মাছ ধরার খোলসানী থেকে মাছ চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার ছেলেকে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করেছে। এ সময় তিনি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, গত রবিবার নির্যাতনের শিকার সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করলে আমরা তা তদন্তের ব্যবস্থা নেই এবং অভিযান পরিচালনা করে ফারাজ আলী নামের একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও এজাহার নামীয় অপর ৪ জনকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।