মঙ্গলবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পানছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেলেন ৯৬টি পরিবার
পানছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেলেন ৯৬টি পরিবার
মো. হেলাল উদ্দিন, পানছড়ি প্রতিনিধি :: মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসাবে পানছড়িতে ঈদুল ফিতরের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৯৬ পরিবার পাবেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।
প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় গনভবন প্রান্ত হতে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে গৃহ- হস্তান্তর কার্যক্রম উপকারভোগী পরিবারের নিকট হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্ভোধন করেন। একই সাথে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ৩য় পর্যায়ে ৯৬টি গৃহের মধ্যে ৮৭ টি সম্পূর্ন প্রস্তুত ঘরের সনদপত্র ও ২ শতক ভূমির কাগজ উপকার ভোগীদের হাতে তুলে দেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ।
এ সময় উপজেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দদেব চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল মুমিন , উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডাক্তার অনুতোষ চাকমা, থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি -তদন্ত ) মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ সভাপতি জয়নাথ দেব, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম, বিভিন্ন দফতরের সরকারী কর্মকর্তাগন, ইউপি চেয়ারম্যান গন,উপকারভোগী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পানছড়ির ৫ ইউনিয়নে প্রাপ্ত ৩৬২ টি ঘরের নকশা ও পরিকল্পনা থেকে এবার কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ফলে ঘরগুলো অনেক সুন্দর, টেকসই ও দূর্যোগ সহনীয় হবে ।ঈদের আগেই ঘরগুলো হস্তান্তর হওয়ায় গৃহহীনদের মাঝে আনন্দের নতুন মাত্রা যুক্ত হলো।
জানা যায়, রঙ্গিণ টিন শেডের প্রতিটি একক ঘরে ইটের দেয়াল ও টিনের ছউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোবার ঘর, একটি রান্না ঘর,টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে। এবারের ঘরগুলো আরো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কাঠামো নির্মাণে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ বলেন, প্রশাসনের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ঘর নির্মাণ ও উপকারভোগী নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্যোগের সাথে উপজেলার যারা সংশ্লিষ্ট তারা যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রেখেছেন। এই কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।