বুধবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মোরেলগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর পেল ২০৬ পরিবার
মোরেলগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর পেল ২০৬ পরিবার
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: মুজিববর্ষে ৩য় ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ২০৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার তাদের জমির মালিকানার দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে পেয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘরের দলিল হস্তান্তর করেন। একই সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মোরেলগঞ্জে ২০৬টি পরিবারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জমি ও ঘরের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, সহকারি কমিশনার(ভূমি) মো. আলী হাসান, থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা ছাবুল, জেলা পরিষদ সদস্য আফরোজা আক্তার লিনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার ও রিপন হোসেন তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি খাল দখল করে বিএনপি নেতার ভবন নির্মাণ, বন্ধ করল প্রশাসন
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় উপজেলার বাংলাবাজারে সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন বিএনপি নেতা মো. খলিলুর রহমান। খবর পেয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুর ই আলম ছিদ্দিকী। তিনি খাল রক্ষায় ওই ভবনের কাজ বন্ধ করে দেন।
ইউএনও জানান, বাংলাবাজার সংলগ্ন সরকারি খালটি প্রায় অর্ধেক ভরাট করে ভবনের কাজ শুরু করেন উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের আ. আজিজ ফকিরের ছেলে বিএনপি নেতা মো. খলিলুর রহমান। তিনি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. ছরোয়ার তালুকদারের মাধ্যমে কাজ না করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি ওই নির্দেশ না মেনে ভবন নির্মাণের কাজ করতে থাকেন। এখবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিই। পরবর্তীতে আবার কাজ শুরু করলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান ইউএনও।
বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী ফরিদ হাওলাদার জানান, বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান এলাকাবাসীর কথা না শুনে খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ করছিল। অথচ এ খালটির উপর রায়েন্দা ইউনিয়নের ৭/৮টি গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল। তাই এলাকার স্বার্থে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে জানালে ইএনও ঘটনাস্থলে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর পেয়ে আপ্লুত প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক ফিরোজ
বাগেরহাট :: আমার জমি ছিলনা, ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমারে জমি দিয়ে, ঘরও দিছে। অ্যাহন স্ত্রী, সন্তান নিয়া আর পথে পথে ঘুরতে হবে না। শেখ হাসিনা য্যানো দীর্ঘজীবি হয়। নামাজ পইড়া তার জন্য দোয়া করবো আল্লায় য্যানো তারে সুস্থ রাহে। উপহারের ঘরের দলিল হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলেন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক মো. ফিরোজ হাওলাদা (৪৫)।
বাগেরহাটেরশরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার এক সময় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। ১৯৯৯ সালে ফেনীতে একটি ভবনে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় বা পা হারান তিনি। এর পর থেকেই বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। শহরে শহরে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে চলছিল সংসার। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পথে পথে যাযাবরের মতো জীবন কাটছিল তার। পরে উপজেলা প্রশাসন তাকে খুঁজে বের করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর প্রদান করে। এখন তার নিজের একটি ঠিকানা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে ভিক্ষুক ফিরোজ হাওলাদারসহ শরণখোলার আরো চার ভূমিহীন পরিবারকে। অন্য ঘরপ্রাপ্তরা হলেন লোকমান হোসাইন, মো. হালিম মাঝি, মো. সুজন ফকির এবং মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার। ধানসাগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামে এই পাঁচটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঘরের দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত আকন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম খোকন, ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু, জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন প্রমুখ।
ইউএনও নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামে জমি ক্রয় করে পাঁচ ভূমিহীন পরিবারকে টিনশেড সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগীরা যাতে ভালোভাবে সেখানে বসবাস করতে পারেন সেজন্য সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে।