বুধবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ইজিবাইক জটলায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রোগীদের চরম ভোগান্তী
ইজিবাইক জটলায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রোগীদের চরম ভোগান্তী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বের হচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। আর সে সময়ই তাদেরকে নিজেদের ইজিবাইকে ওঠাতে ঘিরে ধরছেন চালকরা। এতে অনেকটাই নাস্তানাবুদ স্বজনরা। চিত্রটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মূল ভবনের সামনের। এমনিভাবে প্রতিদিনই ইজিবাইক চালকদের নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা শত শত মানুষকে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের নতুন ভবন, পুরাতন ভবনসহ হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ইজিবাইক। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে এসে হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করেন তারা। কখনো কখনো দীর্ঘলাইনে দাঁড় করিয়ে ইজিবাইকে যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করা হয়। হাসপাতালে সেবা নিয়ে ফেরার সময় রোগী ও তাদের স্বজনদের ঘিরে ধরেন ইজিবাইকচালকরা। এরপর বাইকে উঠতে না চাইলে চালকরা ওই রোগীর এলাকায় বাড়ি বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে যাত্রী ওঠায়। পরে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। কিছু কিছু সময় পরিস্থিতি এমন হয় যে, হেঁটে হাসপাতাল ভবনে প্রবেশের জায়গাও থাকে না। অথচ এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার থেকে ১২০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। অন্যদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনেও দেদারছে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় মোটরসাইকেল। ফলে গুরুতর অস্বুস্থ রোগী, ফায়ার সার্ভিস কিংবা অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশেও বাধা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চললেও তা নিরসনে দেখা মেলেনি কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবা নিতে আসা হাজারো মানুষ। সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেবা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ভোগান্তির শিকার সুখিরন বেগম বলেন, আমার মেয়ের সিজার করে ভর্তি রেখেছিলাম চার দিন। পরে বাড়ি ফেরার সময় হাসপাতালের সিঁড়ি দিয়ে নামার পরই ৩/৪ জন ইজিবাইকচালক এসে আমাদের গাড়িতে ওঠেন, আমাদের গাড়িতে ওঠেন বলে মালামাল টানাটানি শুরু করে। আমরা যেতে রাজি না হওয়ায় শেষে তারা বকাবকি শুরু করে দেয়। জেলার তমালতলা এলাকার রাবেয়া বেগম বলেন, হাসপাতাল থেকে নামার পরই ইজিবাইকচালকরা ঘিরে ধরল। তাদের বললাম আমরা যাব না, কিছুটা পথ হেঁটেই যাব। তবুও তারা সরতে চায় না। এমন পরিবেশ যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে তো হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে আমাদের ভোগান্তিটাই বেশি হয়ে যায়। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসা রুবেল হোসেন বলেন, গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে জরুরি বিভাগে গেলাম রোগী দেখাতে। দেখি জরুরি বিভাগের গেটের দুই পাশে পাঁচটি মোটরসাইকেল রেখ দিয়েছে। আর জায়গা না থাকায় মাঝে মাহিন্দ্র থেকে একটা গুরুতর অসুস্থ রোগীকে নামাতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছিল স্বজনদের। ‘বিষয়টা দেখে অনেক কষ্টই পেলাম। কারণ একটা জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এমন হতে পারে না। এই বিষয়টা শিগগিরই গুরুত্বের সঙ্গে সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে সেবার ক্ষেত্রে যে সম্মানটা সদর হাসপাতাল রাখার চেষ্টা করছে, সেখানে সম্মানের পরিবর্তে ভোগান্তিটাই বেশি দাঁড়াবে’, বলেন রুবেল হোসেন। সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে থেকে ইজিবাইকচালক রায়হান বলেন, হাসপাতালে যাত্রী বেশি পাওয়া যায়। তাই এখানেই আসি। অনেক সময় যাত্রীদের গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করি। তবে তাদের হয়রানি করি না। আরেক চালক রমেশ বিশ্বাস বলেন, ‘আগে হাসপাতালে এলে এখানকার কিছু মানুষ নিষেধ করত। কিন্তু এখন আর করে না। তবে কিছু ইজিবাইকচালক আছে যারা যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।’ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, ইজিবাইকের দাঁড়ানো কিংবা জরুরি বিভাগের সামনের সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহে ৩৬৬ টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ৩’শ ৬৬ টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তায়নে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সদর উপজেলা প্রশাসন। এতে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীনসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপহার জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পর ঝিনাইদহে উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও কাজপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ জেলায় জমিসহ গৃহ পাওয়ার তালিকায় রয়েছে, ভিক্ষুক, বেদে সম্প্রদায়ের লোক, প্রতিবন্ধী, ভ্যানচালক, বিধবার, স্বামী পরিত্যাক্তা, ষাটোর্দ্ধ প্রবীনসহ অন্যান্য ভূমিহীনরা।
ঝিনাইদহে বিএমএ’র দোয়া ও ইফতার
ঝিনাইদহ :: চিকিৎসক ও অন্যান্য পেশাজীবীদের সম্মানে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ঝিনাইদহ জেলা শাখার আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার শহরের কুটুম কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ, বিএমএ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মুন্সি রেজা সেকেন্দার। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিএমএ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রাশেদ আল মামুন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কালীগঞ্জে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলুর রহমান (৭০) ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে বড় ভাই ফজলুর রহমানের সাথে ছোট ভাই হাফিজুর রহমানের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে দুপুরে পাশ্ববর্তি বারোবাজারে ছোট ভাই হাফিজুরের হোমিও ফার্মেসীতে যায় বড় ভাই ফজলুর রহমান। পরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ছোট ভাই তার টেবিলে থাকা একটি ছুরি দিয়ে বড় ভাইয়ের বুকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সেসময় গুরুতর আহত ফজলুর রহমানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। যশোর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: তাহমিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফজলুর রহমান হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।