শুক্রবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সলোক মোল্লার অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া অসহায় মানুষ
সলোক মোল্লার অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া অসহায় মানুষ
ঝিনাইদহ প্রতনিধি :: ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডুতে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে সলোক মোলা (৪৫) নামের এক সুদখোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে হরিশপুর, সাতব্রীজ, বেলতলাসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের সাধারন মানুষ। সুদখোর সলোক মোল্লা হরিনাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং জোড়াদাহ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য। জানা গেছে, বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে সলোক মোল্লা এলাকার অসহায় সাধারন মানুষদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে চড়া সুদের বেড়াজালে জড়িয়ে রমরমা সুদের ব্যবসার মাধ্যমে মানুষকে সীমাহীন হয়রানী ও সর্বশান্ত করে আসছেন। দিনের পর দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেন এই সলোক মোল্লা। সলোক মোল্লার সুদের জালে জড়িয়ে এ পর্যন্ত ভিটেমাটি বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়েছেন এলাকার অনেকেই। আবার সুদ-আসল সহ সমুদয় টাকা পরিশোধের পরেও সুদখোর সলোক মোল্লার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হরিশপুর গ্রামের শামসুল আলম বিশার পুত্র রবু হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এলাকা ছেড়েছেন বলেও জানা যায়। সুদখোর সলোক মোল্লার নিকট হতে কারেন্ট সুদে টাকা নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ সহ সমুদয় টাকা ফেরত দেওয়ার পরও তার হয়রানী ও অত্যাচার থেকে রেহাই পায়না কেউ-ই। টাকা পরিশোধের পরও অসহায়দের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে চলে নানা ষড়যন্ত্র। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে চলে হুমকি ধামকি। এমনকি সুদে-আসলে টাকা পরিশোধের পরও গ্রাহকদের ব্যাংকের চেকের পাতায় (স্বাক্ষরকৃত ব্লাঙ্ক চেক) নিজের ইচ্ছে মতো লক্ষ লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ অসহায় মানুষদের হয়রানীর একাধিক অভিযোগও রয়েছে সুদখোর সলোক মোল্লার বিরুদ্ধে। বেলতলা গ্রামের গোলাম মোস্তফার পুত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, সলোক মোল্লার সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে আমি দিশেহারা। তিন বছর আগে তার কাছ থেকে কারেন্ট সুদে আমি ৩০ হাজার টাকা নেই। সলোক মোল্লা সুদে আসলে দেড় লাখ টাকা আদায় করার পরও আমার নিকট হতে অর্থ দাবী করে যাচ্ছেন। জমি-জায়গা বেচে তার সুদের টাকা পরিশোধ করে এখন আমি সর্বশান্ত। রবু হোসেন বলেন, সলোক মোল্লার নিকট হতে কারেন্ট সুদে ১২ হাজার টাকা নিয়ে সুদাসলে তা ৭০ হাজার টাকায় পরিশোধ করার পরও আমার মুক্তি মেলেনি। সলোক মোল্লা অতিরিক্ত আরো ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বেশি দাবি করে। এ টাকা আদায়ের জন্য দফায় দফায় আমার বাড়িতে হামলা চালায়, আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারা এলাকার মাস্তান টাইপের মানুষ। জীবন বাঁচাতে তিন বছর ধরে আমি এলাকাছাড়া। এ বিষয়ে সলোক মোল্লার বক্তব্য নিতে ফোন করা হলে তিনি বারবার কল রিভিস করে কোন কথা না বলেই লাইন কেটে দিতে থাকেন।