শনিবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ উপহার দিলেন শফিক চৌধুরী
বিশ্বনাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ উপহার দিলেন শফিক চৌধুরী
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য নেতৃত্ব ও জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণেই আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করার পাশাপাশি নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি।
মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কোন ভাবেই শোধ করা যাবে না। তবে আমরা শুধু আমাদের অবস্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিয়ে যেতে পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন সরকার জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে, আর যাবেও।
তিনি শনিবার ৩০ এপ্রিল দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর শহরের পুরাণ বাজার এলাকাস্থ সওজের ডাকবাংলা প্রাঙ্গনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ৭৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ওই ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ওয়াহিদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আজিজুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তৈয়ব আলী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার রনজিৎ ধর রন মেম্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক রুনু কান্ত দে, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মহব্বত আলী জাহান, সদস্য সুহেল আহমদ তালুকদার, সাইদুল ইসলাম, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রুপ, আওয়ামী লীগ নেতা ইছহাক আলী, ফয়জুল ইসলাম, জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কবিরুল ইসলাম কবির, যুবলীগ নেতা আসাদ আহমদ, নাসির উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম রুকন, জাকির হোসেন মামুন, মিয়াদ আহমদ, কয়েছ আহমদ, নাইম আহমদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বনাথে ঈদের আগমূহুর্তে অস্থির ভোজ্য তেলের বাজার
বিশ্বনাথ :: ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথে অস্থির হয়ে উঠেছে সয়াবিন তেলের বাজার। উপজেলায় লাগামহীনভাবে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম। এক শ্রেণির অসাধুু ডিলার ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে দাম। তারা বোতলের গায়ে লেখা খুচরা দামের চাইতেও অধিক মূল্যে বিক্রি করছে সয়াবিন তেল। অসহায় ক্রেতা ব্যবসায়ীর মর্জি অনুযায়ী অতিরিক্ত দাম পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন।
এতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সম্প্রতি বাজার ঘুরে এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের নতুন ও পুরান বাজারের সব ক’টি পাইকারি-খুচরা দোকানে সয়াবিনের অতিরিক্ত মূল্য হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে খুচরা দাম লেখা রয়েছে ৭৬০ টাকা।
কিন্তু, বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো লেখা দামের চাইতে ৪০ টাকা বেশি মূুল্যে বিক্রি করছেন। তারা প্রতি পাঁচ লিটারে দাম নিচ্ছেন ৮০০ টাকা করে। এসব ব্র্যান্ডের দুই লিটারের বোতলের মূল্যেরও একই চিত্র। মূল দামের চেয়ে ৩৫-৪০ টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে এ তুঘলকি কান্ড ঘটিয়ে চলেছেন। ঈদকে সামনে রেখে তারা ভোজ্য তেলের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতা সাধারণ।
উপজেলা সদরে বাজার করতে আসা শিমুলতলা গ্রামের সাজুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘বাজারে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অগ্রহণযোগ্যভাবে বাড়িয়েছেন দাম।
প্রতি লিটারে বোতলের গায়ে লেখা খুচরা মূল্য থেকেও বাড়তি ২৫-৪০ টাকা গুনতে হচ্ছে আমাদের।’ ডিলার ও ব্যবসায়ীরা জানান, ‘বোতলের গায়ের খুচরা মূল্যের চাইতে বেশি দামে আমাদেরই সয়াবিন কিনে আনতে হয়। এরপর সামান্য মুনাফা করে আমরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি।’
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরপ্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, ‘বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও অব্যাহত আছে। অধিক মূল্যে ভোজ্য তেল বা কোন পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে ক্রেতা সাধারণনকেও সচেতন হতে হবে।’
বিশ্বনাথে নূরজাহান ফাউন্ডেশনের নগদ অর্থ বিতরণ
বিশ্বনাথ :: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিলেটের বিশ্বনাথে ‘নূরজাহান ফাউন্ডেশনের’ উদ্যোগে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের দশঘর গ্রামসহ আশপাশ এলাকার অসহায়-গরীব-দুস্থ মানুষের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে ১৩০টি পরিবারের সদস্যকে জনপ্রতি ১৩শত টাকা করা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে ওই নগদ অর্থ বিতরণ করেন দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ খান।
দশঘর গ্রামের মুরব্বী আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জুবেল মিয়া, সাবেক মেম্বার জবেদুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী আবুল কালাম, সংগঠক নূরুল ইসলাম মাস্টার, সেলন মিয়া, তোতা মিয়া, রুহুল আমীন, আব্দুর রকিব, ঝুমন আহমদ প্রমুখ নেতবৃন্দ।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমানের ঈদ শুভেচ্ছা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্বনাথবাসী সহ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সর্বস্তরের জনসাধারণকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, অন্তরের অন্তস্তল থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।
তিনি বলেন, ঈদ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে সব মানুষকে। পবিত্র ঈদুল ফিতরে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি আর ভ্রাতৃত্বের মহিমান্বিত আহ্বানে শান্তি-সুধায় ভরে উঠুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়।
ঈদ সকলের জিবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, সমৃদ্ধিও ভ্রাতৃত্ব। প্রতি বছর ঈদ আমাদের জীবনের সব আনন্দ, প্রেম-প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক সকল মুসলিম উম্মার জীবন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের এই আনন্দময় দিনে মানুষে মানুষে প্রীতি ও বন্ধনের মাধ্যমে হিংসা, বিদ্বেষ ভূলে প্রীতীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া।
তিনি আরো বলেন, ভারতবর্ষের পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে উদযাপিত হবে মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম এই উৎসব। সারা বিশ্বের মুসলমান এ দিনটি পালন করেন একটি খুশির উৎসব হিসেবে। এছাড়া একমাস রমজানের রোজা পালনের মধ্যদিয়ে যে শিক্ষা অর্জন করেছি তা যদি সমাজ-রাষ্ট্র তথা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলেই কল্যাণ।
ঈদের দিনটি ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এ দিন সকল শ্রেণিপেশার মানুষ ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।
ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক। শান্তি আর সৌহার্দে ভরে উঠুক বিশ্ব। এদিক থেকে ঈদ কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, উদ্ভাসিত হয় ইসলামের সাম্যের এক বড় পরিচয়ে। পবিত্র ঈদুল ফিতর সকলের জীবনে বয়ে আনুক সুখ শান্তি ও আনন্দের বার্তা এই প্রত্যাশা করি সবাইকে ঈদ মোবারক।