শনিবার ● ৭ মে ২০২২
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠি বাসন্ডা খাল দখলের যেন মহোৎসব
ঝালকাঠি বাসন্ডা খাল দখলের যেন মহোৎসব
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি বাসন্ডা খাল দখলের যেন মহোৎসব চলছে। প্রকাশ্যেই একের পর এক স্থাপনা গড়ে তুলছে প্রভাবশালীরা। এতে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে খালটি। প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। যদিও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান করে সতর্ক করে দিয়েছেন ও দুই দিনের মধ্যে খালথেকে জিওব্যাগ ও বাঁশ তুলে ফেলার জন্য হুশিয়ারি দিয়েছেন।
বাসন্ডার এই খাল ঘিরে গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী দ্বীতিয় কলকাতা ঝালকাঠির বাজার, যা শতবছরের ঐতিহ্য। এর এক’পাড়েই দখলের এই মহোৎসব চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। ঝালকাঠির নেছাড়াবাদ ঐতিহ্যবাহী দক্ষিনাঞ্চলের মধ্যে নামীদামি খ্যত এন এস কামিল মাদ্রাসা। এ প্রতিষ্ঠানটি খালের অর্ধেক ভরাট করে পাকা বহুতল বভন নির্মান করেছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ সব জেনেও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ।
একসময় বাসন্ডা খালে চলতো ছোট-বড় জাহাজ। তবে, সেসব এখন ইতিহাস। দখলদারদের কারণে সংকুচিত হয়েছে খাল। ব্যহত হচ্ছে নৌ চলাচলও। অপরদিকে খাল ভরাট করার কারনে বিকনা টিটিসি বভনটি ও ঝালকাঠি নবগ্রাম সিএনবি সড়কটিও হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে এ সকল সরকারী স্থাপনা।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুকরা জানায়,ঝালকাঠি নেছারাবাদ এন এস কামিল মাদ্রাসার কতৃপক্ষ গতবছর থেকে রাতের আধাঁরে প্রতিদিন বাসন্ডা খালটি জিওব্যাগ ও ব্লোগ ফেলে ভরাট করে যাচ্ছে। আমরা কিছু বলতেগেই আমাদের উপর পুলিশি হয়রাণী শুরু হয়েযায়। তাই খলিল হুজুরের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে চায়না। আমরা অনেক বার জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি কোন লাভ হয়নি। কয়েকদিন আগে মির্জাগঞ্জ মাজারের দুই খাদেম কে বরিশাল থেকে মাইক্রোতে তুলে আনে মাদ্রাসার একটি কক্ষে দুইদিন বন্ধি করে রাখে ও অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এতে কি হয়েছে কেউ জানেন এতবড় ঘটনা ঘটানোর পরেও তাদের কেউ কিছু করার সাহস পায়নি। আপনারা সাংবাদিক আপনারা জাতির বিবেক আপনারা এই বাসন্ডা খালটি ভুমিদস্যুর হাত থেকে রক্ষা করুণ।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা কর্তিপক্ষ দাবি-খাল দখল করেননি তারা। মাদ্রাসার জায়গাতেই গড়েছেন স্থাপনা। জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনডিসি মোহাম্মদ বশির গাজী বলেন, দখলদারদের দুইদিনের হুশিয়ারি দিয়ে এসেছে। ফিরিয়ে আনা হবে খালের ঐতিহ্য এলাকাবাসী চাইছেন, দ্রুতই চালানো হোক অভিযান। উচ্ছেদ করা হোক দখলদারদের।