শনিবার ● ৭ মে ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ে মহাসড়কে অসুস্থ ঈদ বিনোদন পুলিশের অভিযান
মিরসরাইয়ে মহাসড়কে অসুস্থ ঈদ বিনোদন পুলিশের অভিযান
মিরসরাই প্রতিনিধি :: মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।ইসলামিক ভাব ও ঐতিহ্য ধরে রেখে পালন করা হয় এই উৎসব। সারাবছর কর্মস্থলে আটকে থাকা মানুষগুলো একমাত্র ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ সকলের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়িরটানে ছুটে আসে। ঈদ উপলক্ষে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে যায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। যাহা আবহমান কাল থেকে বাঙ্গালি মুসলিম সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে। কিন্তু বরাবরের মতো এবারের ঈদ আনন্দ উদযাপনের নামে চলছে বেহায়াপনা, অপসংস্কৃতি ও নোংরামি। ফোক ও হিন্দি গানের সাথে ডিজে’র তালে তালে উচ্চশব্দে খোলা ট্রাক, পিকাপ ও ভ্যানগাড়িতে গাদাগাদি করে বোঝাই হয়ে উসৃঙ্খল নৃত্য ও গানের তালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শিশু কিশোরের দল। ঈদের দিন সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে তাদের আনাগোনা ও দৌরাত্ম আর এই নিয়ে অতিষ্ঠ আমজনতা। ঈদের পরের দিন সীতাকুণ্ডের কুমিরায় কিশোর গ্যাং এর মিনি ট্রাক ডিজে পার্টিকে গণধোলাই দিয়েছে মসজিদের মুসল্লীরা। ঈদের দিন থেকে মিরসরাই থানা পুলিশের অভিযানে আটক করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি, জব্দ করা হয় সরঞ্জাম, করা হয় সতর্ক। একই ধারাবাহিকতায় খোলা ট্রাকে হিন্দিগানের তালে উন্মাদ নৃত্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা। বৃহস্পতিবার নিজামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোলা পিকাপে উসৃঙ্খল ডিজে পার্টিকে আটক করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। মিরসরাই থানা, জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা ও জোরারগঞ্জ থানার এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে সচেতন আমজনতা। এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কবির হোসেন বলেন, ঈদের দিন থেকে আমরা এসব অপসংস্কৃতি ও উসৃঙ্খল ডিজে পার্টির দৌরাত্ম্যের বিষয়ে তৎপর হয়ে অভিযান শুরু করি। বেশ কিছু গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরঞ্জাম জব্দ করে পরবর্তীতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সতর্ক করা হচ্ছে। জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদের দিন থেকে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। শিশু কিশোরদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করায় ঈদের পরের দিন ৩ টা গাড়িকে মামলা দেওয়া হয়েছে, ৮ টা গাড়ি আটকে রেখে সতর্ক করে পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঈদ ইমেজ না কাটা এই পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানান।