সোমবার ● ৯ মে ২০২২
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কবিগুরুকে নিয়ে গবেষণার জন্য সুযোগ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ : স্পিকার শিরীন শারমিন
কবিগুরুকে নিয়ে গবেষণার জন্য সুযোগ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ : স্পিকার শিরীন শারমিন
কে এম শাহীন রেজা ,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যিকে এত সমৃদ্ধ করেছেন যার কোনো তুলনা নেই। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিনি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। সেখানে তিনি অসংখ্য সাহিত্য রচনা করে কুঠিবাড়িতে। কাজেই এর ঐতিহ্য ও গৌরব অনেক। আমরা কবিগুরুকে নিয়ে গর্ব অনুভব করি, স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত। ২৫ বৈশাখ রোববার ৮ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী একথা বলেন। কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। ‘মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে এ বছর জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে এবার রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। স্মারক বক্তব্য দেন প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানুষ যাতে আসতে পারেন, ঘুরে-ঘুরে দেখতে পারেন এবং তাকে জানতে পারেন। এছাড়া কবিগুরুকে নিয়ে গবেষণা করতে পারেন সেজন্য সুযোগ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কুঠিবাড়ির গুরুত্ব অনুধাবন করে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের প্রকৃতিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি প্রতিবাদী লেখক ছিলেন। শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে কবিগুরু রচনা করেছেন কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ সোনার তরী ও নোবেলজয়ী গীতাঞ্জলিসহ বহু কালজয়ী গল্প-কবিতা-উপন্যাসসহ নানা ধরনের সাহিত্য। রবিঠাকুর বাঙালির মানসপটে সদাই বিরাজমান। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু। তার সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা- সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খায়রুল আলম। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের আজকের দিনে। মা সারদাসুন্দরী দেবী এবং বাবা বিখ্যাত জমিদার ও ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৮৭৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাতৃবিয়োগ ঘটে।