বৃহস্পতিবার ● ১২ মে ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে ষাঁড়ের লড়াই বন্ধ করলেন ওসি
বিশ্বনাথে ষাঁড়ের লড়াই বন্ধ করলেন ওসি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ষাঁড়ের লড়াই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পরে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান সরেজমিন গিয়ে ওই ষাঁড়ের লড়াই বন্ধ করে দেন।
গত মঙ্গলবার (১০ মে) পৌরসভার হরিকলস গ্রামের পূর্বের মাঠে ওই ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। ষাঁড়ের লড়াই আয়োজন করে এক কমিটির লোকজন। এতে অপর কমিটির লোকজন বাধা হয়ে দাঁড়ালেন।
অপর কমিটির সভাপতি কালা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ মে তাদের কমিটির পক্ষ থেকে দৌলতপুর ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের পশ্চিমের মাঠে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। অদৃশ্য কারণে এই লড়াইটি পুলিশ প্রশাসন বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু মঙ্গলবার তাদের প্রতিপক্ষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া এই লড়াইয়ের আয়োজন করার কথা শুনে দুই দিন আগ থেকেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় তাই তাদের মানসম্মানের বিষয় হয়ে দাঁড়ালে এই লড়াই প্রতিহত করার জন্য ঘোষণা দেন। ফলে ওই লড়াই বন্ধ করা হয়েছে।
মাসুক মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ষাঁড়ের লড়াই বন্ধ করে দিয়েছেন ওসি।
এ ব্যাপারে কথা হলে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ষাঁড়ের লড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
বিশ্বনাথ :: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণও। বেড়েছে নদী, খাল-বিলের পানিও।
হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। দুর্ভোগে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। বিশেষ করে এ বৃষ্টি বিপাকে ফেলেছে কৃষকদের।
বিশ্বনাথ পৌর শহরের পুরানগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আরশ আলী বলেন, ভেজা ধান মাড়াই করে রাখা। বৃষ্টি কারণে শুকিয়ে গোলায় তুলতে পারছি না। খড়ও সব ভিজে নষ্ট হবার উপক্রম।
কিন্তু বৃষ্টির কারণে থমকে গেছে সব। সময় মতো ধান ও খড় শুকাতে না পারলে নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা সদরের রিকশাচালক শাহ আলম বলেন, বাজারে লোকজন নেই। আমাদের আয়ও নেই। এ অবস্থায় রাতের খাবার যোগাতে পারবো সেই চিন্তা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলায় ধান কর্তন প্রায় শেষ পর্যায়ে। শুকনো ধানে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। ভেজা ধান এভাবে কয়দিন থাকনে সমস্যা হতে পারে বলে তিনি জানান।