রবিবার ● ১৫ মে ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নে মামলা : শিক্ষকের অস্বীকৃতি
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নে মামলা : শিক্ষকের অস্বীকৃতি
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির রামগড়ে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রী শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের হলেও অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত মো. বেলায়েত হোসেন (৪২) ইউনিয়নের লামকুপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১নং রামগড় ইউনিয়নের থানাচন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, ভুক্তভোগী একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১২ মে বিদ্যালয় ছুটির পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বাড়ির কাজ দেখানোর কথা বলে ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ অপর এক ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। পরে অপর ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রেখে ভুক্তভোগীকে বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলের পাশে নিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। পরে ছাত্রীটির হাতে ১০০টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাড়ি যাবার পর ভুক্তভোগী বিষয়টি তার মাকে জানায়। শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগীর পরিবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের নেতৃবৃন্দের সহায়তায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে রামগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী দেবী বলেন, স্কুল ছুটির পর বাসায় পৌঁছামাত্র সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবগত করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন কিছু ঘটে থাকলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে অভিযুক্ত শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বলেন, বিদ্যালয় ছাড়া আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় কিছু ছেলেরা স্কুলে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করত। এক বহিরাগত ছেলের আনাগোনা ছিল, আড্ডা ছিলো। ওকে বাঁধা দেয়ায় এই ছাত্রীকে দিয়ে মিথ্যে নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
রামগড় থানার ওসি মো. শামসুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি গুরুতর হওয়াতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রজু করা হয়েছে।