রবিবার ● ২২ মে ২০২২
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » দেশ ও ইফাদ এগ্রোর দূষিত বর্জ্যে স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৭ মাস বন্ধ, কৃষকরা হুমকির মুখে
দেশ ও ইফাদ এগ্রোর দূষিত বর্জ্যে স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৭ মাস বন্ধ, কৃষকরা হুমকির মুখে
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কুষ্টিয়ার খাজানগরের কবুরহাট এলাকায় অবস্থিত দেশ ও ইফাদ এগ্রোর চালকলের বর্জ্যের দূষিত পানির কারণে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি গত সাত মাস বন্দ থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তাছাড়াও কৃষকরাও পড়েছেন হুমকির মুখে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পুরো এলাকা বিষাক্ত বর্জ্য ও কচুরিপানায় ময়লার স্তূপে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ওই পানি গায়ে লেগে চর্মরোগসহ নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দিয়েছে এলাকাতে।
সরেজমিনে উক্ত স্থানে গেলে, স্থানীয় সাধারণ বাসিন্দারা বলেন, কবুরহাট এলাকায় দেশ এগ্রো ও ইফাদ এগ্রোর চালকল মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় সবাইকে ম্যানেজ করে চলেন। তবে উক্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। একটু বৃষ্টি হলেই ওই পানি উঠে যাচ্ছে সড়কে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা এখানে চাকরি করি। চালকলমালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তারা হুমকি-ধমকি দেন। তাই এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে পারি না। আমরা বিষয়টি উপজেলা পযার্য়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে বটতৈল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির বলেন, বুধবার সকালে বিষয়টি আমি দেখে এসেছি। চালকলমালিক পক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি তেমনটি অবগত নই তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়া ঝাউদিয়ায় আবারও একজন খুন
কুষ্টিয়া :: সম্প্রতি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়ায় ৪ খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ১ জন খুন হলো।শরীকানা সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ঠ দ্বন্দের জেরে চাচা ও চাচাতো ভাইদের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জসিম উদ্দিন (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। ২১ তারিখ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝাউদিয়া বাজারের অদুরে হিন্দুপাড়া এলকায় নিজ বাড়িতে এই হামলার ঘটনায় নিহত জসিমের ছোট ভাই রশিদ (৩২) গুরুতর আহত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। নিহত জসিম স্থানীয় বাসিন্দা পাতারি মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় ভ্যানচালক।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে নিহতের চাচা লালন মন্ডল ও তার ছেলেদের সাথে বাড়ির জায়গা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ঝগড়া, তর্কাতর্কি ও শোর চিৎকার হচ্ছিল। এক পর্যায়ে চাচা লালনসহ তার ছেলেরা জসিম ও তার ছোট ভাই রশিদের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় জসিমের মাথায় হাসুয়ার কোপ লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে জসিম মাটিতে পড়ে যায়। জসিমকে বাঁচাতে গিয়ে ভাই রশিদও লাঠির আঘাত ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীদের সহায়তায় পরিবারের লোকজন আহত ভ্রাতৃদ্বয়কে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জসিমকে মৃত ঘোষনা করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান রতন জানান, শনিবার ১১টার দিকে ঝাউদিয়া গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। এছাড়া নিহত জসিমের ভাই আহত রশিদ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীণ আছেন। এঘটনায় এখনও কেউ মামলা করতে থানায় আসেনি।