শনিবার ● ২৬ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » অন্যান্য স্থানের ন্যায় পার্বত্য অঞ্চলের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে :ফিরোজা বেগম চিনু এমপি
অন্যান্য স্থানের ন্যায় পার্বত্য অঞ্চলের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে :ফিরোজা বেগম চিনু এমপি
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৬ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০মিঃ) দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় সরকারের প্রতি পার্বত্য অঞ্চলের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু৷ তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে স্বাধীনতা বিরোধীচক্ররা এখনো স্বক্রীয় রয়েছে৷ দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করতে তারা এখনো তত্পর রয়েছে৷ স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আনার জন্য তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান৷
শনিবার ২৬ মার্চ সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবরদের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে সংসদ সদস্য এ কথা বলেন৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন, পুলিশ সুপার মোঃ সাঈদ তারিকুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, পরিষদের সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সান্তনা চাকমা, অমিত চাকমা রাজু ও নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷
সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নের্তৃত্বে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিদানের ফলে আমরা আজ পেয়েছি একটি লাল সবুজের পতাকা, একটি মানচিত্র ও স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ৷ মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মূল্যায়নের কথা চিন্তা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনা তাদের সম্মানি ভাতা, সনত্মানদের চাকুরী কৌটা’সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে যা অন্যকোন সরকার করেনি৷ তিনি বলেন, আমরা যদি একটু পেছনের দিকে তাকাই তাহলে দেখি, বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী সেই আল বদর রাজাকার জামাত নেতাদের সাথে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছিল৷ যে মানচিত্র ও পতাকার বিরোধীতা জামাত নেতারা করেছিল তারা তাদের গাড়ীতে-বাড়ীতে পতাকা লাগিয়ে চলাফেরা করছিলো যা আমাদের দেশের জন্য ছিল কলংকময়৷ দেশের মানুষ যখন বুঝতে পেরেছে বিএনপি-জামাত এই দেশকে পাকিসত্মানি জঙ্গীরাষ্ট্রে পরিনত করার পায়তারা করছে তখন আবার তারা ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে জয়ী করে রাষ্ট্র পরিচালনার ৰমতা দেয়৷ জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনে আজ দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সকল উন্নয়য়ে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে৷ বিশ্বের মাঝে উন্নত দেশ হিসেবে লাল সবুজের বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে৷ দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নে মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে জাতির পিতার পাশে ছিল উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা রক্ষায় সেভাবে আগামীতেও শেখ হাসিনার পাশে থেকে তার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান সংসদ সদস্য৷
সভাপতির বক্ত্যবে পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মদের মাঝে বিলিয়ে দিতে তিনি বিশেষ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, বিএনপি জামাত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে অন্য ভাবে প্রকাশ করেছিল৷ যার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই জাতির পিতার নাম পর্যন্ত তারা মুছে ফেলতে তত্পর ছিল৷ তাহলে জনগন তাদেও কাছ থেকে আর কি আশা করতে পারে৷ তিনি মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের তাদের সনন্তাদের জাতির পিতা ও ৭১’র সঠিক ইতিহাসগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান৷
পরে অতিথিরা পরিষদ কর্তৃক জেলার ৫জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ২হাজার ৫শত টাকার প্রাইজবন্ড’সহ মোট ৯২জন মুক্তিযোদ্ধাকে ১হাজার টাকা করে সম্মানী প্রদান করেন৷