রবিবার ● ২৯ মে ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » এই দেশে আওয়ামী লীগের নেত্বত্বে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না : মির্জা ফকরুল
এই দেশে আওয়ামী লীগের নেত্বত্বে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না : মির্জা ফকরুল
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: এই দেশে আওয়ামী লীগের নেত্বত্বে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। দুপুরে ঝিনাইদহের ডাকবাংলায় জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, তাদেরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপরে সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে সেই নির্বাচন কমিশনের অধিনে সকলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে। মির্জা ফকরুল বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নগুলোতে এই সরকার ভুলণ্ঠিত করে দিয়েছে। আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, যার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, প্রাণ দিয়েছিলাম, রক্ত দিয়েছিলাম সেই স্বপ্নগুলোতে এই সরকার ভুলণ্ঠিত করে দিয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. এম এ মজিদ’র পরিচালনায় আহ্বায়ক এস এস মশিয়ুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাচুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সভাপতি এড এম এ মজিদ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা ও সাংগঠনিক পদে সাজেদুর রহমান পপ্পু নির্বাচিত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা এড এম এ মজিদ। এর আগে তিনি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে জাহিদুজ্জামান মনা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাজেদুর রহমান পপ্পু নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেত্রবৃন্দের উপস্থিতিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ভোট গননা শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নবনির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষনা করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ কলেজ মাঠে বিএনপির এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে ১০১০ জন ভোটারের মধ্যে ৯২৮ জন তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি পদে আর কেউ প্রতিদ্বন্দিতা না করায় সাবেক ছাত্রনেতা এড এম এ মজিদ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যুবদলের সাবেক সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সেচ্ছাসেবকদলের জেলা আহবায়ক সাজেদুর রহমান পপ্পু নির্বাচিত হন। জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্র নেতা এড আব্দুল আলীম ও ঝিনাইদহ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ বিশ্বাস প্রতিদ্বন্দিতা করেন। অন্যদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সরকারী কেসি কলেজের সাবেক দুই জিএস সাজেদুর রহমান পপ্পু ও শাহাজাহান আলী প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতিসহ একাধিক নেতাকর্মীর পকেটমার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সম্মেলনে উৎসুক নেতাকর্মীরা যখন আগ্রহভরে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের বক্তব্য শুনছিলেন, তখন হঠাৎ ছন্দপতন! চারিদিকে হৈচৈ। নেতাকর্মীরা হৈচৈ এর কারণ অনুসন্ধানে যার যার স্থান থেকে উঠে দাড়াতেই মাইকে ভেসে আসে “আপনারা বসুন, ওদিকে পকেটমার ধরা পড়েছে। আমারও বেশ কিছু টাকা পকেট মেরে নিয়েছে। আপনারা আইন হাতে তুলে না নিয়ে চোরদেরকে পুলিশে দেন”। কথাগুলো মাইকে বলছিলেন জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি এড এম এ মজিদ। মাইকে এ ঘোষনা আসার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা শান্তি হয়ে যান। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শনিবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনস্থলে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর পকেট মারা পড়ে। অনেক দামী মোবাইলও হারান। সঙ্ঘবদ্ধ পকেটমার দলটি সারা সম্মেলনস্থল জুড়ে পকেটমারার পাশাপাশি মোবাইল চুরি করে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এড এম এ মজিদেরও পকেট মারা পড়ে বলে তিনি মাইকে ঘোষনা করেন। এক সিনিয়র সাংবাদিকও পকেটমারের খপ্পরে পড়েন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা নজরদারী চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দশ জন পকেটমারকে দুইটি দামি হাইয়েজ মাইক্রোবাসসহ আটক করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১০টি মোবাইল ও নগদ টাকা। আকটকৃ পকেটমারদের বাড়ি দেশের নানা প্রান্তে বলে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার। তিনি জানিয়েছেন রোববার ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে চোরদলের পরিচয় জানানো হবে।
ঝিনাইদহে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের টেবিল চেয়ার ও সরকারি গাছ বিক্রিসহ সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দক্ষিন রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের টেবিল চেয়ার ও সরকারি গাছ বিক্রিসহ সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নাইমুর রহমান রাজিব জানান, বিভিন্ন সময়ে ঝড়ে ভাঙ্গা গাছ ও ডালগুলো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের কোন সদস্যকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক রুনা লায়লা প্রতিষ্ঠানের ৪০ মনের অধিক গাছের ডালপালাসহ প্রতিষ্ঠানের রড বিক্রি করেছে। এমনকী পাশ্ববর্তী একটি বাড়িতে স্কুলের টেবিল বেঞ্চ লুকিয়ে রেখেছে। এ বিষয় স্কুলের সভাপতি সহ স্কুলের অভিভাবক সদস্যরা কেউ জানে না। প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছামত স্কুলের সম্পদ এভাবে তছরুপ করে চলেছে। এছাও আরো ৩০ থেকে ৪০ টি বেঞ্চ গোপনে বিক্রয়ের জন্য পাশের একটি বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে। তবে এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান রুনা লায়লা অল্প কিছু গাছের ডাল ও ভাঙ্গা চেয়ার টেবিল বিক্রির কথা স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, একটি বাড়িতে কিছু বেঞ্চ রাখা আছে তবে সে গুলো বিক্রয়ের জন্য নয়। প্রতিষ্ঠানের সভাপতির অনুমতি ছাড়া বিক্রি ও পাশের বাড়ীতে বেঞ্চ রাখা যাই কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক রুনা লায়লা বলেন, এটা আমার ভ’ল হয়েছে। তবে আমি আমার ঝিনাইদহ সদর উপজেলা এটিও হাসান মাসুদ স্যারকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা এটিও হাসান মাসুদ বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত আছি তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সাথে আলোচনা ছাড়া বিক্রি বা চেয়ার টেবিলগুলো বাইরে রাখা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধমে শাস্তির দাবী এলাবাসীর।