মঙ্গলবার ● ৩১ মে ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর গ্রামবাসির অভিযোগ
মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর গ্রামবাসির অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সাগন্না ইউনিয়নের সাগান্না আমের চারা বাজার বাইতুল মামুর জামে মসজিদ এর ইমাম রবিউলের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন দপ্তরে গ্রামবাসি অভিযোগে পত্র দাখীল করেছেন। রবিউল ইসলাম সাগন্না ইউনিয়নের সাগান্না গ্রামের খেজমত আলীর ছেলে। এঘটনায় সাগন্না ইউনিয়নের সাগান্না আমের চারা বাজার বাইতুল মামুর জামে মসজিদ এর ইমাম রবিউলের বিরুদ্ধে এলাকাজুড়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। ইমাম রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় এলাকার একাংশ আমজনতা সাগান্না আমের চারা বাজার বাইতুল মামুর জামে মসজিদে নামাজ পড়তে অনিহা প্রকাশ করেছেন মর্মেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে গ্রামবাসি সাগান্না আমেরা চারা বাইতুল মামুর জামে মসজিদ এর ইমামতি কার্যক্রম থেকে অপসারণ করে নতুন করে ইমাম নিয়োগ দিতে ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইসলামী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহ ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর গ্রণ সাক্ষর করে অভিযোগ পত্র দাখীল করেছেন। গ্রামবাসী তাদের অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করে বলেন, আমরা ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সাগন্না ইউনিয়নের সাগান্না গ্রামের দক্ষিণপাড়া গ্রামের শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। সাগান্না আমের চারা বাইতুল মামুর জামে মসজিদে মোঃ রবিউল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ইমামতি করে আসছেন। কিন্তু ইমাম মোঃ রবিউল ইসলামের নামে এলাকা জুড়ে ব্যাপক নারী কেলেংকারীর অভিযোগ থাকায় আমরা তার অপসারণ দাবী করছি। এবং নতুন করে ইমাম নিয়োগের জন্য আবেদন করছি। মোঃ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর মধ্যে রয়েছে সাগন্না গ্রামের জৈনিক গৃহবধূর ঘরে ঢোকার পরে স্থানীয়রা তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন। ঝিনাইদহ শহরের ইসলামী হাসপাতালে চাকুরী করাবস্থায় এক হিন্দু নার্সের সাথে তার কেলেংকারী ঘটনা ঘটে। এ খবর জানাজানি হলে ইসলামী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে বহিস্কার করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর মাদ্রাসায় চাকুরী করাবস্থায় একই মাদ্রাসার শিক্ষিকার সাথে কোটচাঁদপুর আবসিক হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের আটক করেন। সে সময় উক্ত সাগান্না আমের চারা বাজার বাইতুল মামুর জামে মসজিদ এর বর্তমান সভাপতি তাকে উদ্ধার করেন। এছাড়াও এলাকার চাঁদপুর মসজিদে ইমামতি করাকালীন তার বিরুদ্ধে একাধীক নারী কেলেংকারী অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও আমাদের জানা মতে সে জামায়াত শিবিরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত আছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী তার পিছনে নামাজ আদায় করতে চাই না। বিষয়টি এখনই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বর্তমান ইমাম মোঃ রবিউল ইসলামকে সাগান্না আমেরা চারা বাইতুল মামুর জামে মসজিদ এর ইমামতি কার্যক্রম থেকে অপসারণ করে প্রয়োজনীয় তদন্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক নতুন করে ইমাম নিয়োগ দিতে এলাকাবাসি জোরদাবী করেছেন।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে পদ পদবি গোপন রেখে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি নেতারা
ঝিনাইদহ :: বিএনপি সব ধরণের নির্বাচন থেকে বিরত থাকলেও পদ পদবী গোপন করে ঝিনাইদহ বিএনপির এক ঝাক নেতা পৌরসভা নির্বাচন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেনি বলে জানা গেছে। জেলা বিএনপি সিদ্ধান্ত নিলে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার দায়ে এসব পদধারী নেতারা বহিস্কার হতে পারেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি ও তার জোটের কোন প্রার্থী নেই। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের কোথাও বিএনপির প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন না। কিন্তু ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে পৌর বিএনপির পদধারী নেতারা অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামীলীগের পাশাপাশি তারাও নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় তাদের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঝিনাইদহ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শেখর এবারো কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ৬ নং ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এছাড়া ঝিনাইদহ পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান মিঠু পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড থেকে, পৌর বিএনপির সহ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম ৫ নং ওয়ার্ড থেকে, বিএনপি নেতা তোফাজ্জেল হোসেন ৪নং ওয়ার্ড থেকে, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি ও সাবেক যুবদল নেতা মোঃ মহিউদ্দিন ৮নং ওয়ার্ড থেকে, বিএনপি নেতা দুলাল শাহ ২নং ওয়ার্ড থেকে ও পৌর মহিলা দল নেত্রী মোছাঃ আনজুয়ারা খাতুন আনজু সংরক্ষিত ৪,৫,ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে তারা জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে নির্বাচন নিয়ে এ সব নেতারা মুখ খুলতে নারাজ। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা বলেন, কাউন্সিলর পদে নেতারা অংশ নিচ্ছেন এটা আমি দেখেছি। তবে আমরা সদ্য সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহন করেছি। বিষয়টি যচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
সামান্য বাতাসেই মাথার উপর আছড়ে পড়ে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মৃত ও অর্ধমৃত শতবর্ষী কড়াইগাছগুলো এখন পথচারীদের গলার কাঁটা। মৃত্যুদূত হিসেবে গাছগুলো দাড়িয়ে আছে। সামান্য বাতাস ও হলেই রাস্তা দিয়ে হেটে চলা পথচারীদের মাথার উপর আছড়ে পড়ে। দিনকে দিন পথচারীদের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়লেও স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। সরেজমিন দেখা গেছে ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর সড়কে বেশ কিছু মরা কড়াই গাছ দাড়িয়ে আছে। প্রতিনিয়ত এসব গাছের শুকনা ডাল ভেঙ্গে পড়ছে। আর ঝড় হলে বড় বড় ডাল ভেঙ্গে রাস্তা, বাসাবাড়ি ও যানবাহনের উপর ভেঙ্গে পড়ে। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে গাছের ডাল ভেঙ্গে। পুলিশ ও দমকলবাহিনী সুত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টম্বর কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যন্ডে কড়াই গাছের শুকনা ডাল ভেঙ্গে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আব্দুর রউফের স্ত্রী মারা যান। ২০১৬ সালের ৩ আগষ্ট ঝিনাইদহের গোপিনাথপুর গ্রামে গাছের ডাল ভেঙ্গে মারা যান নিমাই চন্দ্র নামে এক বৃদ্ধ। কালীগঞ্জ থেকে কোটচাঁদপুর সড়কে চলাচলকারী কবির হোসেন জানান, মহাসড়কের ধারে মৃত ও অর্ধমৃত গড়াই গাছগুলো চরম ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব গাছে নেই কোনো পাতা, শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে গেছে পুরা শরীর। মূর্তিমান আতঙ্কের মতো নড়বড়ে শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গাছগুলো। ঠিক যেন ভয়ানক মৃত্যুদূত। মৃদু বাতাসে এসব গাছ ভেঙে পড়তে দেখা যায়। সড়কে সব সময় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় সড়কের উপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণ জরুরী হয়ে পড়েছে। আশাদুল ইসলাম নামে আরেক পথচারী জানান, বিভিন্ন সময় জেলা পিরষদ গাছ অপসারণের সিদ্ধান্ত নিলেও পরিবেশবিদরা হৈ চৈ শুরু করেন। তাদের কাছে মানুষের জীবনের মুল্য নেই। মহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, সড়কের দুই ধারেই বিভিন্ন জায়গায় গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। যখন তখন ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। অথচ মানুষের কথা প্রশাসন শুনছে না। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদ আহম্মেদ সনজু বলেন, বিষয়টি সেনসিটিভ হওয়ায় আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না। কারণ আমি তো আর গাছগুলো দেখিনি। মরা গাছ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, আমরা এসব মরা গাছ অপসারণের উদ্যোগ নিলেই পরিবেশবিদরা আন্দোলন করে। এ জন্য মরা গাছের বিষয়টি লিখিত আকারে মন্ত্রনালয়কে জানিয়েছি। মন্ত্রনালয় তেকে সিদ্ধান্ত আসলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। উল্লেখ্য, সম্ভবত ১৮৪২ সালের দিকে ঝিনাইদহ ও যশোর অঞ্চলে রাস্তার ছায়ার জন্য দুই ধারে অতিবর্ধনশীল জয়নাল্ক গাছের চারা রোপণ করেছিলেন। সেই বৃক্ষগুলো ঝিনাইদহের বিভিন্ন সড়কে ছায়া দেয়ার পাশাপাশি অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এক সময়ের প্রয়োজনীয় এই কড়াই গাছগুলো আজ গুরুত্বহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
কোটচাঁদপুরে ডিশ লাইনের ক্যাবল লাগাতে গিয়ে প্রতিবন্ধী পান ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুলাল বিশ্বাস (৪৫) নামে এক প্রতিবন্ধী পান ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে সলেমানপুর কারিগর পাড়ায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। দুলাল একই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, সোমবার রাতে প্রতিবন্ধী দুলাল দোকান বন্ধ করে বাসায় যায়। এসময় সে টিভিতে ডিশ লাইনের ক্যাবল লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরতর আহত হয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কোটচাঁদপুর পৌর ফাড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুস সাত্তার। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
১০ বছর সাজার ভয়ে ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে ৩৫ বছর আবদুল মজিদ
ঝিনাইদহ :: দস্যুতা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ বছর পলাতক থাকার পর পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। সোমবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ৩৫ বছর ধরে পলাতক আসামি আবদুল মজিদকে (৬৬) গ্রেফতার করে। আব্দুল মজিদ সদর উপজেলার বেংরুই গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে। র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৮৫ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন ছকাই এলাকায় নদীর চরে নির্জন স্থানে দস্যুতার মাধ্যমে একজন কাপড় ব্যবসায়ীর কাছে থেকে কাপড় ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় আব্দুল মজিদসহ তিনজন। ওই ঘটনায় উক্ত ব্যবসায়ী আরান মল্লিক বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি দস্যুতা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর কয়েকদিনের মধ্যেই আসামি আব্দুল মজিদ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে ৩ মাস ১৬ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে পলাতক হন এবং তিনি আর কখনো আদালতে হাজিরা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ইতোমধ্যে আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত বিচারকার্য সম্পন্ন করে আসামি মজিদকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। র্যাবের কাছে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মজিদ আদালতের দেওয়া সাজা হতে বাঁচার জন্য প্রথমে যশোরে আত্মগোপন করে বসবাস করতে থাকে। প্রায় তিন বছর পর সে তার অবস্থান বদল করে ঝিনাইদহ গিয়ে দুই বছর এবং পরবর্তীতে ঢাকার আমিনবাজার গিয়ে আরও তিন বছর আত্মগোপনে থাকেন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে আসামি মজিদ নাম পরিবর্তন করে ফারুক নামে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করতে থাকেন। ওই এলাকার লোকজন তাকে মোহাম্মদ ফারুক বেপারী নামে চেনে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত তিনি ট্রাক ড্রাইভারের চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, আসামি আব্দুল মজিদ গ্রেফতারের পর তাকে সোমবার সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হরিণাকুন্ডুতে প্রধান সড়ক চলাচলের পুননির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের প্রধান লালন সড়কটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ায় সড়কট পুননির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, যানবাহন চালক, পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। দরপত্র আহব্বানের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও রাস্তাটি পুননির্মান শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসির মাঝে। রাস্তাটি আদৌ পুননির্মাণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে দেখা দিয়েছেন নাগরিক মহলে। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় খানাখন্দ আর গর্তের। অনেক স্থানে বর্ষার পানি জমে তলিয়ে গেছে সড়ক। প্রধান সড়কের বেহাল দশায় যানবহন চালকগন বিকল্প সড়ক হিসেবে গ্রামীন রাস্তা ব্যবহার করার ফলে এসকল রাস্তাও ভেঙ্গে চুরে একাকার হয়ে পড়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় দ্রুত সড়কটি পুননির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার শিক্ষার্থী, পরিবহন চালক, ব্যবসায়ী, পথচারীসহ সাধারণ নাগরিকবৃন্দ। উপজেলার দোয়েল চত্ত্বর মোড়ে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে শতা শত মানুষ অংশ গ্রহন করে। মানববন্ধনের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে তারা সড়কটির দ্রুত পুননির্মাণের দাবিতে ঘন্টাকাল অবস্থান করে। গনমানুষের প্রাণের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে শরীক হন পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন, কাউন্সুলরবৃন্দ, উপজেলার দুটি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিকদবৃন্দ, শ্রমিক ও ছাত্রনেতৃত্ত্বসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শহরের দোয়েল চত্ত্বর মোড় হতে তৈলটুপি ব্রীজ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি ২০০০ সালে কার্পেটিংয়ের কাজ হয়। এর মধ্যে তৈলটুপি ব্রীজ হতে বাকচুয়া লক্ষ্মীপুরের মাথা পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং করা হয়। ২০২১ সালে বাকি সাড়ে বারো কিলোমিটার সড়ক পুননির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ইপিআইসি কেএপি পিওটি একেএইচআই জেভি নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণের কাজ পায়। এলজিইডির আম্পান প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয় সড়কটি পুননির্মাণের জন্য। কিন্তু দেড় বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও অদ্যাবধি কাজ শুরু হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নাসের আলম সিদ্দিকী উজ্জল বলেন, বর্ষার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে দ্রতই কাজ শুরু করা হবে। ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, কাজ শুরু করতে আমি ইতোমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে কয়েকটি চিঠি দিয়েছি। সম্প্রতিও তার সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি আজকালের মধ্যে সড়কটি নির্মানের কাজ শুরু হবে। না হলে টেন্ডার বাতিল করা হবে বলে তিনি গনমাধ্যমকে জানান।